top of page
..

নিঃশব্দে মিজোরামে চলছে ছোট বিড়াল গোষ্ঠীর প্রাণীর অবৈধ পাচার

উত্তর-পূর্ব ভারত ক্রমাগত এক সংকটাপন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে চলেছে বেড়াল গোষ্ঠীর ছোট সদস্যদের অবিরত চোরাশিকার এবং চোরাচালানের কারণে। মূলত, এশিয়াটিক গোল্ডেন ক্যাট, মার্বলড্ ক্যাট এবং চিতা বেড়াল বা লেপার্ড ক্যাট এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত প্রজাতি। এই চক্র চলছে লোকচক্ষুর আড়ালে। এই নিয়ে লিখছেন নবারুণ গুহ




Leopard cat. Photo: flickr/Mark Louis Benedict

বিরল বন্যপ্রাণী প্রজাতি ভিত্তিক পণ্যের বাণিজ্যিক মূল্য এবং চাহিদা — দুই-ই বৃদ্ধি পেয়েছে, এশিয়া জুড়ে এক শ্রেণির নির্দিষ্ট মধ্যবিত্তদের মধ্যে তাদের চাহিদা বাড়ছে। আবাসস্থল হ্রাসজনিত কারণ ছাড়াও বন্যপ্রাণ বাণিজ্যের লাভের অঙ্কের রমরমা অনেক প্রজাতির বেঁচে থাকার পথে দ্বিতীয় বৃহত্তম অন্তরায়ের তকমা পেতে পারে খুব সহজেই। এই সামগ্রিক ঘটনা ভারত-মায়ানমার সীমান্তের বিরল ছোট বেড়াল প্রজাতির দেহাংশের অবৈধ ব্যবসার উপর একটি নতুন গবেষণা দিক উন্মোচন করে দিয়েছে। গবেষণাভিত্তিক এই উপস্থাপনা নির্দিষ্ট কিছু ছোট মার্জার গোষ্ঠীর অবৈধ ব্যবসার দুশ্চক্র নিয়ে কেন্দ্রীভূত। বাঘ এবং চিতাবাঘের মতো চোরাশিকার এবং দেহাংশের বেলাগাম চালানে নানান প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতে ক্রমাগত এক সংকটাপন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে চলেছে বেড়াল গোষ্ঠীর এই ছোট সদস্যরা। অবিরত চোরাশিকার এবং চোরাচালানের কারণে ক্লাউডেড লেপার্ড (Neofelis nebulosa এবং N. diardi), এশিয়াটিক গোল্ডেন ক্যাট (Catopuma temminckii) এবং মার্বলড্ ক্যাট (Pardofelis marmorata) সেই নির্দিষ্ট প্রজাতিগুলির মধ্যে পড়ে, যারা তাদের 'কুলীন' আত্মীয়দের বিকল্প হিসেবে প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। তাদের দেহাংশের অবৈধ ব্যবসা মায়ানমার, ভারত এবং চীন জুড়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে। প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডেও এই বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য।


গবেষণাপত্রের আলোকে:


উত্তর-পূর্ব ভারত জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ইন্দো-বার্মা হটস্পটের একটি অংশবিশেষ। এশিয়াটিক গোল্ডেন ক্যাট, চিতা বেড়াল বা লেপার্ড ক্যাট (Prionailurus bengalensis), মার্বলড্ ক্যাট, (Pardofelis marmorata) এবং বাঘরোল (Prionailurus bengalensis) সহ প্রায় দশটি প্রজাতির মার্জারের আবাসস্থল এই অঞ্চল। মূলত তাদের দেখা মেলে উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড প্রভৃতি রাজ্যে। ২০২২-এর শীতের সময় গবেষক, জীববিজ্ঞানী এবং প্রভূত গবেষণাপত্রের লেখক অমিত কুমার বল মিজোরামের চম্ফাই জেলার মুরলেন জাতীয় উদ্যানের আশেপাশে বসবাসকারী কিছু লোকের সাথে সাধারণ কিছু কথোপকথনের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছিলেন সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে। প্রসঙ্গত, তিনি গত কয়েক বছর ধরে মিজোরাম ও মায়ানমারের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। একবার গবেষণায় উঠে আসে মুরলেন ন্যাশনাল পার্কের কাছে একটি গ্রামের সীমান্তে একটি এশিয়াটিক গোল্ডেন ক্যাট'কে স্থানীয় শিকারীরা নৃশংস ভাবে মেরে ফেলে। তিনি জানিয়েছেন যে বুশমিট বা স্থানীয় পদ্ধতিতে মাংস পুড়িয়ে খাওয়ার চাহিদাবশত আনুমানিকভাবে শিকারীর লক্ষ্য ছিল বুনো শুয়োর বা হরিণ শিকার করা। তবে বেড়াল প্রজাতির জীব মেরে তারা একথা বুঝতে পারে যে চামড়া, করোটি, হাড় বা নখ ইত্যাদি বিক্রি করে বাজারজাত করলে বড় অঙ্কের লাভের সুযোগ রয়েছে।

Asiatic golden cat/ wikimedia commons


চলতি বছরেই সহ-গবেষক সুশান্ত গৌদা এবং অ্যান্টনি জে. জিওর্দানোর সাথে অমিতবাবু একটি গবেষণাপত্রে তাদের অনুসন্ধান সম্পর্কে লিখেছেন। গবেষণাপত্রটির নাম The Price of Gold? A Note on the iIlegal Trade in Asiatic Golden Cats and Other Small Felids between Mizoram (India) and Myanmar. চোরাশিকার অবিরত উপদ্রবে বাঘ বা চিতাবাঘের ভবিষ্যত ঠিক কোন জায়গায় আজ এসে পৌঁছেছে, তা আমাদের গোচরে আসে নানান মাধ্যমের বদান্যতায়, কিন্তু এই পরিবারের ছোটখাট সদস্যদের হালহকিকতের কথা আমরা সবসময় তেমন একটা জেনে উঠতে পারি না মূলত তথ্যভিত্তিক সূত্রের অভাব এবং এদের আরণ্যক অন্তরালে নিজেদের লুকিয়ে রাখার স্বভাবের কারণে। আলোচ্য গবেষণাপত্রটি ছোট বেড়ালদের শিকার এবং অবৈধ বাণিজ্য সম্পর্কে মুরলেনের একজন স্থানীয় শিকারীর সাথে বিশদভাবে একটি কথোপকথনের অনুষঙ্গ বর্ণনা করে। তার একটি অংশ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা এই আলোচনায় আগেও উঠে এসেছে: “Upon encountering an Asiatic golden cat, the hunter knew there was an opportunity to ‘get easy money’ by selling the cat’s valuable pelt, as well [as] its skull, bones, claws, and teeth.” অর্থাৎ রাতারাতি লাভের মুখ দেখার এক অত্যন্ত অন্ধকার পথের দ্যোতক আমরা দেখতে পাচ্ছি, যা অদূর ভবিষ্যতে অনিবার্যভাবে কয়েকটি প্রজাতির অস্তিত্বকে সংকটের মুখে ফেলে দেবে।


Clouded leopard


বেড়াল গোষ্ঠীর শরীরের অঙ্গের চাহিদা বৃদ্ধি সম্প্রতি অবৈধ বাণিজ্যচক্রকে চরম হারে বাড়িয়ে তুলেছে। গবেষণাপত্রে একথাও উল্লিখিত হয়েছে যে মায়ানমার সীমান্ত বরাবর জনমানবশূন্য এলাকা এবং মিজোরাম ও মায়ানমারকে সীমানা তিয়াউ নদীর তীরে ঘন বনের আচ্ছাদন ভারতের এই অংশে অনুপ্রবেশ, বাণিজ্য এবং চোরাশিকারের বাধাহীন বৃদ্ধিতে অনভিপ্রেতভাবে অনুঘটকের কাজ করেছে। অমিতবাবু তাঁর গবেষণাপত্রে একথা জানান যে তাঁরা মূলত শিকারীদের যে দলের সাথে কথা বলেছিলেন, সেই দলেরই আরেকজন শিকারী ২০১৯ সালের প্রথম দিকে মুরলেনে একটি মার্বলড্ ক্যাট এবং একটি লেপার্ড ক্যাট'কে হত্যা করেছে। প্রাণীগুলিকে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা (single-barrel breech loading 12-bore rifle) হত্যা করা হয়েছিল। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, তাদের দেহাংশ মায়ানমারে বিক্রি করা হয়েছে বলেও নির্দ্বিধায় উল্লেখ করেন সেই শিকারী।একান্ত কথোপকথনে তিনি বলেছিলেন যে মার্জার গোষ্ঠীর এইসব দুর্লভ সদস্যদের শুধুমাত্র মায়ানমারে তাদের অবৈধ কালোবাজারি দরের জন্য হত্যা করা হয়। শিকারের জন্য সাধারণত শিকারী অপেক্ষা করে একটি উঁচু জায়গায়, যা মূলত মাচান নামে পরিচিত। উঁচু গাছের ওপর গাছের ডাল দিয়ে তৈরি একটি অস্থায়ী প্ল্যাটফর্ম। সেখানে একজন শিকারী সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তার 'লক্ষ্য'-এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। দেহাংশগুলি ভ্রান্ত ঔষধি মূল্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবসার পণ্যে পরিণত হচ্ছে। মায়ানমার এই অবৈধ ব্যবসায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে বলেই প্রাথমিক অনুমান। মিজোরাম রাজ্যের চম্ফাই জেলার যে অঞ্চলে মুরলেনের অবস্থান, সেই জায়গাটিই সম্প্রতি বন্যপ্রাণী এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ পণ্যের আন্তঃসীমান্ত ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরা পড়েছে। মঙ্গাবে-ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের মে মাসে চম্ফাইতে কাছিম, সাপ, বীভার এবং একটি বন্য বিড়াল সহ ৪৬৮টি প্রজাতির বহিরাগত বন্যপ্রাণী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।


শমন যখন শিয়রে:


কার্যত, 'কুলীন' শ্রেণি বা বিগ ক্যাটস্-দের শিকার কঠিনতর হওয়ায় চোরাকারবারীদের লক্ষ্য ক্রমশ হয়ে উঠছে মার্জারকুলের ছোটরা। অমিত কুমার বলের কথায়: "আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধির কারণে বাঘ, চিতাবাঘ এবং তুষার চিতাবাঘের মতো বড় বিড়ালগুলিকে হত্যা করা যত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে, শিকারীরা এখন তাদের দৃষ্টি হানছে ছোট ফেলিডের দিকে।" এই প্রাণীগুলির দেহাংশের ব্যবসা কেবল ভারতেই নয়, চিন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে হয়ে চলেছে৷ অমিতবাবু উল্লেখ করেন, “বর্তমানে মার্বলড্ ক্যাট এবং গোল্ডেন ক্যাট ১৯৭২-এর ভারতীয় বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে তফসিল প্রজাতি হিসাবে সুরক্ষাধীন। তবে, ভারতে বন্য এই বেড়াল গোষ্ঠীর প্রকৃত পরিসংখ্যান এখনও অস্পষ্ট।" উত্তর-পূর্ব ভারতে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করে চলা একটি বেসরকারি সংস্থা আরণ্যক। বেড়াল প্রজাতির ছোটদের এই অধরা প্রকৃতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, আরণ্যকের প্রকল্প কর্মকর্তা আইভি ফারহিন হুসেন বলেন, “এই ছোট বেড়ালগুলি এতটাই গোপন থাকতে পছন্দ করে যে এরা খুব কমই দেখা যায়। এরা এদের বাসস্থান সম্পর্কেও খুব সংবেদনশীল। এমনকী তাদের বাসস্থানের সামান্যতম পরিবর্তনও তাদের খুব অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়। এই প্রাণীদের এতটা গোপন প্রকৃতির হওয়ার এই হলো প্রধান কারণ। সুতরাং, যদি তাদের বাসস্থানের ওপর কোনওকিছুর প্রভাব পড়ে, তা স্বাভাবিকভাকেই তাদের সংখ্যার ওপরেও প্রভাব বিস্তার করবে।”


নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো'র (ডব্লিউ. সি. সি. বি.) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে ছোট বেড়ালের ব্যবসা খুব কমই হয়। এর আগে তাঁরা চিতা বিড়াল, ভাম এবং বাঘরোলের নমুনা বাজেয়াপ্ত করেছেন। গত পাঁচ বছরে, ছোট প্রজাতির বেড়াল শিকারের কোনও উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে একথা ঠিক যে, কিছু ক্ষেত্রে বাঘ এবং চিতাবাঘের সাথে ছোট বেড়ালদের হাড় ও দেহাংশের পাচারও হয়ে যাচ্ছে, আর অপর প্রান্তের ক্রেতা খুব একটা সপ্রতিভও নন তফাৎ বোঝার ক্ষেত্রে।


সম্ভাব্য সমাধান:


এই প্রবন্ধে উল্লিখিত গবেষণাপত্রে একটি দৃষ্টিকোণ ভীষণ স্পষ্ট—এই অঞ্চলে দারিদ্র্য এবং উচ্চ স্তরের দুর্নীতি স্থানীয় লোকদের এই অবৈধ বাণিজ্যে জড়িত হতে আরও এগিয়ে দিয়েছে এবং এই অঞ্চলে অবৈধ বাণিজ্য প্রশমিত করার জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পদ্ধতিতে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ইতিবাচক সম্পৃক্তি প্রয়োজন। অমিত কুমার বলের মতে, মুরলেনের লোকেরা শিকারের বিপদ সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করেছে। এ বছর বনে ছোট বেড়াল নিধন তুলনামূলকভাবে কমেছে।


বন বিভাগের সহযোগিতায় তিনি ছোট বেড়াল সংরক্ষণের বিষয়ে মুরলেনে গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা প্রসারের চেষ্টা করছেন। “আমরা প্রধানত এখানকার গ্রামের বাজারগুলিতে হোর্ডিংস্ রাখি যাতে তারা এই প্রাণীগুলিকে বাঁচানোর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে পারে৷ আমরা এই হোর্ডিংগুলিকে বেশিরভাগ মিজোতে রাখি যাতে সেগুলি অনেক বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। আমরা সচেতনতা গড়ে তুলতে মিজোরামের সবচেয়ে শক্তিশালী এনজিও ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াই. এম. এ)-এর সাহায্য নিচ্ছি,” কথোপকথনে অমিতবাবু একথা জানান।


সচেতনতার প্রচার। ছবি: লেখক।


সম্ভাব্য সমাধানসূত্রের অনেকগুলি অনুষঙ্গের মধ্যে আলোচ্য এই দিকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় স্তরের জীবিকার জন্য শিকারের আর্থ-সামাজিক স্তরে কী প্রভাব থাকতে পারে, অরণ্যের সঙ্গে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ইতিবাচক সম্পর্ক, বৈকল্পিক নানান জীবিকায় অংশগ্রহণে স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়োগ, বিকল্প জীবিকা-ভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য প্রশাসনিক সমর্থন প্রভৃতি পদক্ষেপ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের এ হেন কেন্দ্রবিন্দুতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধানসূত্র হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।


মুরলেনে তিন বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত করার পরে স্থানিক ভিত্তি এবং এর জনগণের সাথে একটি অনন্য বন্ধন গড়ে তোলার নিরিখে অমিতবাবুর প্রয়াস ফলপ্রসূ হচ্ছে। সাম্প্রতিক কথোপকথনে তিনি জানান যে, এ বছর এখন পর্যন্ত ছোট প্রজাতির বেড়াল শিকারের ঘটনা ঘটেনি। তিনি শিকারী সম্প্রদায়ের সাথে নিজেই কথা বলে এই প্রাণীগুলির প্রজাতিগত গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের ওয়াকিবহাল করার চেষ্টা করেছেন প্রভূত ভাবে। তাদের এভাবে বোঝানো হয়েছে যে, বিরল এই প্রজাতির প্রাণীগুলি যে একপ্রকার তাদের ঘরের উঠোন ঘেঁষে বসবাস করে, এই দিকটি নিয়ে তাদের গর্ববোধ করা উচিত। কোনও একজন শিকারী জানান যে তার বন্দুক বিক্রি করে কৃষিকাজে নিয়োজিত হতে চান। কেউ কেউ আছেন যারা পর্যটকদের জন্য হোম-স্টে খুলেছেন এবং গাইড হিসেবেও কাজ করছেন। আশার ক্ষীণ আলো, তারা বুঝতে আরম্ভ করেছেন যে পর্যটকদের আসার জন্য, তাদের এই বনের এই সমৃদ্ধ প্রাণীকুলকে সংরক্ষণ করতে হবে। এখন দেখার বিষয় একটাই, এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল কী হয়।


মূল প্রবন্ধটি Mongabayপত্রিকায় প্রকাশিত। ইংলিশ প্রবন্ধটির অনুমতিক্রমে অনুবাদ করলেন প্রতীক মহাপাত্র বনেপাহাড়ের পাঠকদের জন্য। মূল প্রবন্ধটির লিঙ্ক: https://india.mongabay.com/2023/08/the-silent-trade-of-elusive-small-cats-in-mizoram/



Comments


Royal_Bengal_Tiger_Kanha.JPG
bottom of page