top of page
  • ..

বাঘ দিবসে সচেতনতার প্রচারে বনেপাহাড়ে

২৯শে জুলাই ছিল আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। ওই দিনে বনেপাহাড়ের ছোট দল পৌঁছে গেছিল বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ নিয়ে সচেতনতার প্রচারে।

বনেপাহাড়ে ডেস্ক



প্রায় দেড় বছর হল বনেপাহাড়ের পথ চলার। বাংলা ভাষায় বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে ধারাবাহিক লেখালেখি চলছে এই ওয়েব পত্রিকায় অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়েই। এমন অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে যারা আগে হয়ত এই সব বিষয়ে ততটা ওয়াকিবহাল ছিলেন না। কিন্তু এসবের বাইরেও রয়ে গেছে একটা অংশ যারা হয়ত যথোপযুক্ত কারণেই ইন্টারনেটে তাতে আসা যাওয়া করে না। কিন্তু আগামী পৃথিবীর জন্য খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ তারা। তারা আমাদের কিশোর ছাত্রছাত্রীরা। তাদের কাছে এই সব বার্তা বয়ে নিয়ে যাওয়া খুব খুব দরকার বলে মনে হয়েছে বনেপাহাড়ের সম্পাদকীয় বিভাগের।


জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষার পক্ষে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বন মহোৎসবের শেষে এই সময় পালিত হয় ২৮শে জুলাই প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস, ২৯শে জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ সংরক্ষণ দিবস ও ৩১ শে জুলাই বনরক্ষী দিবস। বাঘ আমাদের জাতীয় পশু। তার আকর্ষণ শিশু, কিশোর থেকে বৃদ্ধ- সবার কাছেই দুর্দমনীয়। তাই এই বিশেষ দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয় বনেপাহাড়ের সচেতনতা প্রচার সূচনার জন্য। বনেপাহাড়ের দুই সম্পাদক ডা: সুমন্ত ভট্টাচার্য্য, ড: ঐশিমায়া সেন নাগের সাথে ছিলেন হাওড়া জেলার তরুণ বন্যপ্রাণী কর্মী প্রযুক্তিবিদ চিত্রক প্রামাণিক।

এই প্রচার অভিযানের স্হান ছিল কলকাতার বিধাননগরের সারদা প্রসাদ ইনস্টিটিউশান। বাঘ দিবসের অনুষ্ঠানের আগেই ২৫শে জুলাই সেই বিদ্যালয়ে ছাত্রদের মধ্যে একটি বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিষয় ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ।


এই দিনের অনুষ্ঠানে প্রকৃতি, পরিবেশ ও বিপন্নতার বিভিন্ন দিক, বিশেষত: জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন বনেপাহাড়ের সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা ডা: সুমন্ত ভট্টাচার্য্য। বনেপাহাড়ের সহযোগী সম্পাদক ড: ঐশিমায়া সেন নাগ ছাত্রদের সামনে বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা বোঝান। আর চিত্রক প্রামাণিক তার দীর্ঘদিনের বন্যপ্রানীদের , বিশেষত: বাঘরোল, পেঁচা, কাছিম ও সাপদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন ছাত্রদের সামনে। সব শেষে ছাত্রদের হাতে কিছু উপহার তুলে দেওয়া হয় অঙ্কন প্রতিযোগিতার পারদর্শিতার নিরিখে।



চিত্রকের হাতে ধন্যবাদ স্বরূপ অল্প কিছু প্রীতি উপহার তুলে দেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মহাশয়া। অনুষ্ঠানে উচ্চ শ্রেণীর ছাত্রদের উৎসাহ ছিল স্বত:স্ফূর্ত। এমন ভাবে হয়ত তাদের সামনে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে ওঠেনি কখনও। বারবারই মনে হচ্ছিল এই সব কথা এমন সব ছাত্রদের সামনে তুলে ধরলে আগামী দিনে তারা পরিবেশ সম্বন্ধে দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠবে। সবাই বনাধিকারিক, বনকর্মী, পরিবেশ কর্মী হবে না।

কিন্তু সকল নাগরিকের মধ্যে সচেতনতা না এলে শুধু মাত্র কিছু আকাদেমিক, গবেষক ও বনদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মীরা এই পৃথিবীকে বাঁচাতে পারবেন না। এই ভাবনা মাথায় রেখেই বনেপাহাড়ের পাতায় সাধারণ মানুষের ভাষায়, আঞ্চলিক ভাষায় তুলে ধরা হয় এই সমস্ত বিষয়। এবার কিশোর ছাত্রসমাজের মুখোমুখি হয়ে বনেপাহাড়ের সেই চেষ্টা একটা অন্য মাত্রা পেল।


এই গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য যাদের অবদান অনস্বীকার্য তাঁরা হলেন সারদা প্রসাদ ইনস্টিটিউশানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিশেষত: শুভ্রজিৎ চক্রবর্তীর উদ্যোগের কথা উল্লেখযোগ্য। বনেপাহাড়ে আশা রাখে ভবিষ্যতে এমন ছোট ছোট জমায়েতের মাধ্যমে এই বিদ্যালয়ে তো বটেই, আরো বিভিন্ন স্হানে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে এইসব আলোচনা, এমন সব ভাবনা।






2 e paa_edited.jpg
Royal_Bengal_Tiger_Kanha.JPG
bottom of page