ভারত এমন একটি দেশ যার উপর বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব পড়তে চলেছে। অথচ এই নিয়ে কতটা ওয়াকিবহাল আমাদের রাজনৈতিক নেতারা যাদের হাতে আইন প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারনের দায়ভার? কতটা আলোচনা হয় এই নিয়ে সংসদে? সাহানা ঘোষের উত্তর খোঁজার চেষ্টা এই প্রবন্ধে।
"গল্পটা সব সময় একই রকম। রাজনীতিবিদরা সবসময়ই জলবায়ু পরিবর্তনকে একটা অজুহাত হিসাবে দেখায় কোন বিপর্যয় হলে," পরিবেশ বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথিউ কোল বলছিলেন কেরালার একদল বিধায়ককে। কেরালা তো সংকীর্ণ একটি ভূ-ভাগ মাত্র আরব সাগর ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মধ্য।
কোল সেদিন ইউনিসেফের আয়োজন করা একটি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরিবেশ সম্মেলনে কেরালার বিধায়কদের সামনে বক্তব্য রাখছিলেন। আইনগত উপায়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখার হকদার এই বিধায়করা মন দিয়ে শুনছিলেন উন্নয়নের কারণে ঘটে চলা নানা পরিবর্তন, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও উষ্ণ হতে থাকা আরব সাগরের মাঝে "দৈত্য ও সমুদ্রের মাঝে" পড়ে যাওয়া রাজ্যটির হাল হকিকত।
কোট্টায়ম জেলারই মানুষ কোল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশদে আলোচনা করছিলেন, তা নিয়ে থাকা ধোঁয়াশাগুলি কাটাচ্ছিলেন, এর কারণে কেরালায় উদ্ভূত সমস্যাগুলির সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। "ভূমিধ্বস হতে পারে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে। কিন্তু জমির ব্যবহারে পরিবর্তন হয়েছে সময়ের সাথে সেটা একটা বড় কারণ এবং কেরালা এর বড় উদাহরণ," তিনি বলছিলেন। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা নিয়েও তিনি বলছিলেন- কিভাবে গোটা রাজ্যে সামগ্রিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একদিকে কমে এসেছে, অন্যদিকে কম সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে কিছু কিছু অঞ্চলে-বেশিটা মধ্য কেরালায়। এই অতিমাত্রায় বৃষ্টির সাথে রাজ্যটি ব্যাপক ধ্বসের সম্মুখীন হয় ২০১৮,১৯,২০ ও ২১ সালে। অনিয়ন্ত্রিত খনি, অবৈজ্ঞানিক সব পরিকাঠামো নির্মাণ আর ব্যাপক হারে বনভূমির ধ্বংস এই ঘটনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে প্রচুর জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়।
এক পরিবেশ বিজ্ঞানীর এই বিধায়কদের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি এমন সময়ে হল যখন বৈজ্ঞানিক ও রাজনৈতিক জগতের মধ্যে ফারাকটা ক্রমাগত বাড়ছে এই ‘post-truth' এর যুগে যখন যে কোন তথ্যকে বিচ্ছিন্নভাবে তুলে ধরে কোন একটা বিষয়কে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় সামগ্রিকভাবে না দেখে। রাজনীতিকদের পক্ষে ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বাড়তে থাকা গবেষণার নানা তথ্যের হদিশ পাওয়াও একটা জটিল সমস্যা তো বটেই।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দেখিয়েছে ভারতীয় সংসদে এই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কত কম আলোচনা হয়ে থাকে।৮৯৫টি প্রশ্ন এই নিয়ে করা হয়েছে সংসদে, যা ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ অবধি হওয়া প্রশ্নের মাত্র ০.৩%। আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এই গবেষণায় এটা দেখা যাচ্ছে যে যদিও এই সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর বাড়ছে, তবুও তা নগণ্য ভারতের সামনে জলবায়ু পরিবর্তনগত যে বিপদ রয়েছে তার মাত্রার তুলনায়। গবেষকরা আটটি সূচক শব্দ খোঁজার চেষ্টা করছেন: ‘climate’, ‘adapt’, ‘carbon’, ‘fossil fuel’, ‘green power’, ‘IPCC’, ‘Kyoto’ and ‘warm’। প্রশ্নগুলি বেশিটাই ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব(২৭.৬%) ও সমাধানের(২৩.৪%) উপরে। গবেষকদের মতে, "ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমাধান ও অভিযোজনের ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে অনেকটা"।
গবেষণাটির অন্যতম লেখক হরিণী নগেন্দ্র বলেন, "সংবাদমাধ্যম, বৈজ্ঞানিক ও আইনপ্রণেতাদের (legislator) মধ্যে আরও যোগাযোগ প্রয়োজন"। সিকিমের প্রাক্তন সাংসদ পি ডি রাই যিনি ২০১৮ সালের হিমালয়ের হিমবাহ ও সিন্ধু-গাঙ্গেয় উপত্যকার জল নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনপ্রণেতা আলোচনার সভাপতি ছিলেন তিনিও এই গবেষক ও আইন প্রণেতাদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর উপরে জোর দিচ্ছেন। রাই নিজে Global Legislators Organisation for Balanced Environment (GLOBE) নামক বিশ্বব্যাপী আইন-প্রণেতাদের সংগঠনের প্রথম মহাসচিব। তিনি জানালেন, "এর আগে পঞ্চদশ লোকসভায় মাননীয় অধ্যক্ষ দ্বারা জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়ণের উপরে কোনরকম আনুষ্ঠানিক নিয়ম ছাড়াই কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেখানে একটা প্রথাসম্মত উপায়ে আলোচনা চলতই যেখানে বিশেষজ্ঞরা আমন্ত্রিত হতেন সাংসদদের সাথে কথা বলার জন্য। আমাদের কয়েকজন সাংসদ COP26 climate change conference (2021) এও উপস্হিত ছিলেন গ্লাসগোয় ও সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথেও দেখা করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টা নির্বাচনে কখনই সামনে আসে না
ইন্ডিয়ান স্কুল অব্ বিজনেসের Bharti Institute of Public Policy-র গবেষণা অধিকর্তা অঞ্জল প্রকাশ এক কথায় মানেন যে ভারতের আইন প্রণেতাদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনা আরও জোরদার করতে হবে। " কিছু মাত্রায় সচেতনতা আছেই, তবে জলবায়ু পরিবর্তন কখনই ভোটের ইস্যু হিসাবে উঠে আসে না", তিনি বললেন। তিনি এটাও মনে করেন যে, আইন প্রণেতারা এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে সবসময় পান না যাতে তা তাদের উপযোগী হয়।তিনি সম্প্রতি আইন প্রণেতা ও প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে লোকনীতি সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনও একটা বিষয় ছিল। তিনি বললেন, " আইন প্রণেতারা অনেক সময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও চরম সতর্কবার্তার খবরগুলির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।"
গবেষণাটিতে দেখা যাচ্ছে সাংসদরা এই সংক্রান্ত তথ্য সবথেকে বেশি পান খবরের কাগজ বা গবেষণাপত্র দেখে। তারা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্বাস্থ্য, কৃষিকাজ ও উপকূলের উপরে কেমন হবে সেটা নিয়ে। এই সংক্রান্ত সংসদীয় প্রশ্নগুলি মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি ও বিমান পরিবহনের উপরে ঘোরাফেরা করে।
National Action Plan on Climate Change প্রণীত হবার আগে ২০০৭ সালে এই নিয়ে প্রশ্নের বহর অনেক বেড়ে যায় দেখা গেছে ২০ বছরের সময়কালে। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করা হয়েছিল ২০১৫ সালে ১০৪টি -যখন বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের নাম ও দায়িত্ব পরিবর্ধিত করে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক করা হল।
হিমবাহ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষক অনিল কুলকার্নি, যিনি ২০১৮ সালে 'হিমবাহ ও সিন্ধু-গাঙ্গেয় উপত্যকায় জল নিরাপত্তা' সংক্রান্ত আইন প্রণেতাদের সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন , তিনিও লক্ষ্য করেছেন এখন সংসদে অনেক বেশি প্রশ্ন হয় এইসব নিয়ে, মূলত হিমালয়ের বরফে ঢাকা অংশ (Himalayan cryosphere) ও হিমবাহ নিয়ে। "Glaciology এখন খুব গরমাগরম বিষয়। প্রতি সংসদের অধিবেশনে এই নিয়ে পাঁচ-ছ'টি প্রশ্ন তো থাকেই", তিনি বললেন। ব্যাঙ্গালুরুর IISc-র Divecha Centre for Climate Change-এর এই বিজ্ঞানী জানালেন যে, "হিমালয়ের বরফ ঢাকা অংশ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আসে, বিশেষত: উত্তরাখন্ডের ২০২১ সালের বিপর্যয়ের পরে। সাধারণত: কোন গবেষণাপত্র মিডিয়ার নজরে এলে তবেই নেতারা উৎসাহ দেখান। বিজ্ঞানীরা নিজে থেকে রাজনীতিকদের সাথে কথা বলছেন এটা বিরল"।
তাঁর বিশ্লেষণ- "কেন্দ্রীয় স্তরে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের জন্যই বেশিরভাগ এই সংক্রান্ত প্রশ্ন সংসদে ওঠে, এমনটা নয় যে সাংসদরা গবেষণা পত্রিকা পড়ে দেখেন। রাজনৈতিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব এই রকম সংবাদমাধ্যমের মত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে। কারণ খবরের কাগজে সেই সব গবেষণার কথাই প্রকাশ হয় যাদের সাথে জনস্বার্থের বড়সড় যোগ আছে।"
কুলকার্নি স্মরণ করিয়ে দেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা যা হিমালয়ের হিমবাহের দ্রুত গতিতে গলে যাওয়ার উপর করা হয়েছিল তা কিভাবে সংসদে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল হিমবাহের সংকোচন, হিমবাহ হ্রদ সৃষ্টি হওয়া এসব বিষয়ে। কুলকার্নি জানান, " এই গবেষণার পিছনে বার্তাটা খুব পরিষ্কার ছিল যা প্রথমে পশ্চিম দেশগুলির সংবাদমাধ্যম ও পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তুলে ধরে। আমরা হিমবাহের সংকোচন, আকস্মিক বন্যা (flash floods ) ও তার প্রভাব -এসব নিয়েও জানতে চেয়ে প্রশ্ন পেয়ে থাকি।"
প্রাদেশিক স্তরে বিষয়টা কিছুটা আলাদা। "হিমালয়ের রাজ্যগুলির সরকারি আধিকারিক ও আইন প্রণেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তার জন্য কী করা যেতে পারে সেইসব নিয়ে জানতে খুব আগ্রহী", কুলকার্নি জানান। তিনি হিমাচল প্রদেশের নীতি নির্ধারক ও প্রশাসকদের নিয়ে বৈজ্ঞানিকদের একটি সম্মেলনের কথা উল্লেখ করেন যেটি Himachal Pradesh Council for Science Technology and Environment আয়োজন করেছিল Divecha Centre for Climate Change এর সাথে যৌথভাবে এই বছর জুলাই মাসেই।" এই ধরনের আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ যেখানে রাজনীতিকদের আমরা বোঝাতে পারি, বিজ্ঞান কী বলছে, যদিও তাঁরা চান এমন কিছু যা বিজ্ঞানের মধ্যে পড়ে না। তাই এখানে আমরা জানতে পারি তাঁরা কী ভাবছেন আর আমাদের গবেষণাকে প্রয়োজনীয় চেহারা দিতে পারি"।
কুলকার্নির কথারই প্রতিধ্বনি হরিণী নগেন্দ্রের কথায়। " জলবায়ু পরিবর্তন এখন এমন একটা ফলিত বিষয় যে গবেষণার জন্য গবেষণার বিলাসিতা এখানে সম্ভব না। তাই বাস্তবে কোন প্রশ্নগুলি এই নিয়ে উঠে আসছে সেটা বিচার করে আমরা লক্ষ্য স্হির করতে পারি"।
যেমন ২০১৮-এ হিমালয়ের হিমবাহ নিয়ে আইন প্রণেতাদের সম্মেলনে উঠে এসেছিল গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন- নেপালের হিমাবহগুলির অবস্হা কতটা উদ্বেগজনক যা প্রতিবেশী ভারতের বিহার রাজ্যকে প্রভাবিত করতে পারে, অরুণাচলের মত রাজ্যে হিমবাহগুলির সমীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞের অভাব, বরফ ঢাকা শৃঙ্গে কালো অংশের বার হয়ে যাওয়া বা স্বল্প সময়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ফলাফল কেমন হতে পারে!
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নির্ভর করবে প্রতিরোধী ব্যবস্হার উপর
কেরালায় বিধায়কদের সাথে আলোচনায় রক্সি ম্যাথু কোল তাদের বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক চিত্র থেকে তার স্হানীয় প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তার সাথে স্হানীয় স্তরে প্রস্তুতির উপরে জোর দেন এর সাথে লড়ার জন্য। "আমি জোর দিয়ে বলি যে, জলবায়ু পরিবর্তন একটা বৈশ্বিক সমস্যা হলেও এর প্রভাবগুলি স্হানীয় স্তরে পড়বে এবং স্হানীয় মানুষজনকে নিয়ে তার প্রতিরোধী ব্যবস্হা গড়ে তোলা দরকার", তিনি বলেন। "আর কেরালার মত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমলেও এখনও যথেষ্ট বৃষ্টি হয়। তাই পুরো ব্যাপারটা আসলে এর থেকে বাঁচার প্রস্তুতির উপর নির্ভরশীল", তিনি জোর দিয়ে বলেন।
কেরালা কিন্তু ধ্বসপ্রবণ। আবহাওয়ার পরিবর্তন শুধু যে বারবার বিপর্যয় ঘটাবে তাই নয়, বরং সময়ের সাথে তার তীব্রতা বাড়বে। কোল কেরালার বিধায়কদের ব্যাখ্যা দেন, " এখন আমরা এক ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেখছি। ২০২০-৪০ সময়কালে সেটা হয়ে দাঁড়াবে দেড় ডিগ্রী। আর ২০৪০-৬০ সময়কালে ২ ডিগ্রী। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও আমি আন্দাজ করতে পারছি না বন্যা, মেঘ-ভাঙ্গা বৃষ্টি আর বর্ষার পরিবর্তিত রূপ কেমন দাঁড়াতে পারে এর ফলে।"
বিজ্ঞানী কুলকার্নি যদিও মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় যতই আলোড়ন ফেলুক নেতাদের মধ্যে বা বেশি প্রশ্নোত্তর পর্ব হোক সংসদে, এই বিষয়ে গবেষণার যথাযথ অর্থ কিন্তু আসছে না।তিনি বলেন, " এমনকি পাঁচ-ছ'বছর আগেও হিমবাহের উপর গবেষণার যে পরিকাঠামো ছিল তা এখন নেই। এই নিয়ে গবেষণায় উৎসাহদানের জন্য আলাদা কমিটিই ছিল।দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আসলে প্রয়োজন হিমবাহের উপরে গবেষণা চালাতে এবং এই গবেষণাকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে"।
মূল প্রবন্ধটি Mongabayপত্রিকায় প্রকাশিত। ইংলিশ প্রবন্ধটির অনুমতিক্রমে অনুবাদ করা হল বনেপাহাড়ের পাঠকদের জন্য। মূল প্রবন্ধটির লিঙ্ক: https://india.mongabay.com/2022/08/parliamentary-discussions-related-to-climate-change-are-largely-missing-in-india-finds-study/
Comments