বনবিভাগের কাজে জড়িয়ে থাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গের বনবিভাগে কাজ করা আমলার কলমে উঠে আসছে তেমন কিছু সরস গল্প বনেপাহাড়ের পাতায়। তেমনই কিছু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের Chief Conservator of Forests লিপিকা রায়।
১৯৯১ সালের মাঝামাঝি পশ্চিমবঙ্গ বনসেবায় (West Bengal Forest Service)
নির্বাচিত হওয়ার পর জানতে পারলাম আমাদের দু’বছর ধরে ট্রেনিং হবে কোয়েম্বাতুরের State
Forest Service College এ। ট্রাঙ্ক, হোল্ড অল, সব বেঁধেছেঁদে দু'দিন ট্রেনজার্নির পর উপস্থিত
হলাম ট্রেনিং কলেজে।হাজিরা দেওয়ার সময় অধিকর্তা ব্যাজার ভাবে জানালেন যে আমরা দুজন
মহিলা অফিসার নির্বাচিত হয়েছি বলে তাঁরা যারপরনাই খুশি হয়েছেন। কিন্তু আমরা যে সত্যি
সত্যি এসে উপস্থিত হয়েছি, তাতে ভারি বিব্রত বোধ করছেন। গত বিশ বছরে কোনও মহিলা
এখানে আসেননি। এসব “পুরুষোচিত কাজ” করতে বাড়ির লোকরা আমাদের ছাড়বে না বলেই
ধরে নিয়েছিলেন। তাই থাকার জায়গা টায়গা রাখেন নি।মানে “আমরা চাইলে চলেও যেতে
পারি”।
আমরা এসব সদুপদেশে একেবারেই কান না দেওয়াতে তাঁরা অবশেষে এক “ট্রানজিট
হাউসে” আমাদের পাঠালেন। আশ্বস্ত করলেন এই বলে যে ওখানে যে কাজের মহিলা আউটহাউসে
থাকেন তিনি নাকি হিন্দি জানেন; আমাদের নাকি কোন অসুবিধে হবে না। একটু পরেই হাসিখুশি
মহালক্ষীদিদি এসে আমাদের সঙ্গে বুলেট ট্রেনের গতিতে যে ভাষায় কথা বলতে শুরু করল তা
আর যাই হোক হিন্দি কোনোমতেই নয়। দু চার মিনিট পরে আমি আর আমার বন্ধু অফিসার
ঠিক করলাম যে আমাদের দুপক্ষের নিজের নিজের মাতৃভাষাতে কথা বলাই ভাল।
“ যাও তো দিদি , ঝাঁটা টা নিয়ে এসে ঘরটা ঝেড়ে ফেল”…
মাতৃভাষার কি অপার মহিমা, দিদি পাঁচ মিনিটে ঝাঁটাহস্তেন সংস্থিতা হয়ে গেল। আর তারপর
থেকে আমরা দুপক্ষ ই কিছুটা যে যার মাতৃভাষা আর কিছুটা মূকাভিনয় দিয়ে দিব্যি কথাবার্তা
বলতাম আর সব কাজ বেশ হয়েও যেত।
তা এ হেন মাতৃভাষার বলে বলীয়ান হয়ে দুবছর পর আমি এসে হাজির হলাম মেদিনীপুরে।
সেখানে ব্যারাক টাইপের কোয়ার্টারে আমার কাজের দিদি সন্ধ্যা, আর রান্নার দিদি পুষ্প।দিন
নেই, রাত নেই, কখনো সাইকেলে, কখনও কোনো স্টাফের বাইকের পিছনে বসে জঙ্গলে ঘুরে
বেড়াই, কাজ শেখার জন্য। সামনে বর্ষা আসছে, প্ল্যান্টেশনের কাজ শুরু হবে।
দুপুরবেলা রোদে পুড়ে, লালমাটির ধুলো মেখে ফিরতে না ফিরতে সন্ধ্যার সাদর সম্ভাষণ “ অ
ম্যাডামদিদি, দুটো বিড়ি দিবা?”
“অ্যাঁ??” টা কোনো রকমে গিলে এক লহমায় ভেবে নিলাম, আমার এখন যা চেহারা হয়েছে
নির্ঘাত বিড়ি খোর মনে হচ্ছে! কিন্তু কি সাহস! ম্যাডামের কাছে বিড়ি চাইছে?
“আমার কাছে ওসব বিড়িটিড়ি নেই।“
“দিবা না তাই বল, তা বলে লাই বলবা ক্যানে? গুদাম ঘর ভর্তি বিড়ি আর আমি দুটা লিলে
দুষ?”
“কি মুশকিল গুদাম ঘরে তো কলাই বীজ, প্ল্যান্টেশন এ লাগবে, ওখানে বিড়ি কোথায়?”
“ওসব প্লিনশান টিনশান আমি জানি না, আমি দুটা বিড়ি লুবোই”
এবার মঞ্চে আসেন আমার অর্ডারলি ঘনশ্যাম।“ ম্যাডাম ওই কলাই গুলা কে এখানে বিরি বলে,
দিদি কে দিন না দুটো, ঘরের সামনে জমিতে ফেলবে”। কলাই ডালের বীজ রাখা ছিল,
প্ল্যান্টেশন এ দুলাইন গাছের মাঝে পোঁতা হবে বলে। ম্যাডামের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলন করে ঘনশ্যাম
বিদায় নিল।
সন্ধেবেলা আগমন রান্নার দিদি পুষ্পর। এসেই তাঁর ঘোষণা “ আমার দ্যাওর ভাকুতেলের
ব্যবসা করে। পুলিশে লিয়ে গেছে, কচি জা’টা কান্না করছে, তার কাছে থাকতে হবে। কালকে
আমি আসব না”। আমি ভাবলাম নির্ঘাত ব্ল্যাকে কেরোসিন বেচে, তাই পুলিশে ধরেছে। মাথা টাথা
নাড়িয়ে সরে পড়লাম।
ঘরে গিয়ে হরিচরণের অভিধানে “ভ” খুলে কোথাও “ভাকুতেল” পেলাম না। তখন তো
মোবাইলের যুগ নয়, অফিসের ফোন থেকে কলকাতায় ফোন করার অনেক হ্যাপা। কাজেই
অগতির গতি মা’র কাছ থেকে জেনে নেওয়ার “আপাতক” কোনো উপায় নেই। পরদিন আমার
বীট অফিসারের শরণাপন্ন হলাম।
“ ও অনাথবাবু, ভাকুতেল টা কি জিনিস?”
“ ওসব বাজে জিনিস ম্যাডাম, ও দিয়ে আপনি কি করবেন?”
“ আমি আবার কি করব? পুষ্পদিদি বলল তার দেওর কে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে ভাকুতেল
বেচছিল”
লজ্জিতমুখে কন্যাসমা ম্যাডামকে অনাথবাবু জানালেন “চোলাই মদ” এর গ্রামীণ মেদিনীপুর ভাষা
সংস্করণ হল “ভাকুতেল”।
বনপাহারার কাজে আমাদের রাতে বেরোতে হত প্রায়ই। একদিন হন্তদন্ত হয়ে একজন
ফরেস্ট গার্ড এসে খবর দিল এক শালের জঙ্গলে “মুড়া তাড়া হত্যাছে, এখনি বেরতে হবে”।
মেদিনীপুরে ততদিনে ওরা বুঝে গেছে, ওদের বক্তব্যের “সহজ বাংলা অনুবাদ” না করে দিলে
ম্যাডাম ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে তাকিয়ে থাকবেন। বোঝা গেল শুধু গাছ কাটা হচ্ছে তাই নয়, গর্ত
করে গাছের শিকড় পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক ঢুকে পড়েছে জঙ্গলে। মনে মনে দুটো
শব্দ তাড়াতাড়ি মুখস্ত করে নিতে নিতে রেডি হই।
এর বছর চারেক পর আমার পদার্পণ বাঁকুড়ায়। এখানে আমার কোয়ার্টারে আমার গার্জেন
ভবানী, সে একেবারে নীরব কর্মী। আর অফিসে অর্ডারলি বাসু , সে ঘোরতর সরব কর্মী।
বয়স্ক, হাসিমুখ, খোঁচাখোঁচা চুলের ভারি তৎপর বাসুকে আমার বেশ পছন্দ হয়ে গেল। শুনলাম
কদিন বাদেই তার মেয়ের বিয়ে।
“একটা কথা ছিল স্যার”
“এখন তো বেজায় ব্যস্ত আছি বাসু…খুব জরুরী কিছু?”
“মানে মেয়্যা টার বিহা তো, একটা ষড়যন্ত্র করতাম স্যার আপনার সাথে”
আমি চেয়ার থেকে পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিলাম। দুমিনিটের মধ্যে অনেক কিছু ভেবে
ফেলি। “ কি সাংঘাতিক বাপ, শেষে মেয়ের বিয়ে নিয়ে আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতে চায়, আমি
এর মধ্যে নেই বাবা” !
ভাবতে ভাবতেই শুনতে পেলাম, “ আপনি অফিসের ম্যাডাম হলে কি হব্যে, আপনি হলেন গে
আমার বড় মেয়্যা টার মত…।“ বুঝলাম চিন্তিত বাবা আমার ওপর ভরসা করে শলাপরামর্শ
করতে চায় ।
কিছুদিন পর সন্ধ্যেবেলা আর এক স্টাফের ছেলের বিয়েতে অফিস থেকে সদলবলে সবাই যাচ্ছি
নেমন্তন্ন খেতে ।গল্পগুজবের ফাঁকে যখন শুনলাম “ অমুকের ভোজবাড়িতে একেবারে অপরিচ্ছন্ন
আয়োজন”, দিব্যি বুঝতে পেরে গেলাম এটা হল “ অঢেল আয়োজন” এর বাঁকুড়া ভাষ্য।
বছর দেড়েক পর বাসু আমাকে জানিয়ে গেল ওর “মেয়্যার” “ছেইল্যা” হয়েছে, কাজেই
ওর বাড়িতে আমাদের “প্রীতিভোজ”।গিয়ে দেখি পরীর মত ফুটফুটে একটা বাচ্চা মেয়ে সবার
কোলে ঘুরছে। “আমার লাতি বট্যে”। যা বাবা, বাচ্চা মেয়ে হল গে “ছেইল্যা” আর “লাতি”।
আমি আর জিজ্ঞাসাবাদে না গিয়ে “অপরিচ্ছন্ন আয়োজনে” “প্রীতিভোজ” সেরে ফেরার রাস্তা
ধরলাম।কদিন বাদে গেনু বাউড়ী, যে নাকি আমার মালি কাম দারোয়ান কাম পাম্প চালানোর
লোক, তার কাছে রীতিমত ব্যাকরণ এর পাঠ নিয়ে জানলাম যে সব বাচ্চাই যখন জন্মায় তখন
সে “ছেইল্যা”। একটু বড় মেয়ে হল “বিটিছ্যানা”। ওর বউ হল “ ঘরের মেয়্যাছেল্যা”। আর
আমার মত “ল্যাখাপড়া জানা মেয়াছেল্যা” দের “ ম্যাডাম সাহেব” বলে সম্মান দেয়া
অবশ্যকর্তব্য। অতঃপর গেনু আমার হাতে প্রমাণ সাইজের একখানা মিষ্টিকুমড়ো দিয়ে বলল,
“ডিংল্যা আমার জমির বট্যে”। হাতের উপর বিরাজমান “ডিংল্যা”র সাইজের মতই আমার
শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পেতে লাগল।
একদিন বাঁকুড়ায় আমাদের লজঝড়ে মার্কা জিপে বেরিয়েছি কাজ দেখতে। দূরে দেখতে পাচ্ছি খড়ের বোঝা
নিয়ে লাইন দিয়ে গরুর গাড়ি আসছে আমাদেরই দিকে ।আমাদের হর্নে দু একটা গাড়ির গাড়োয়ান যদি বা
রাস্তা ছাড়লো, কিন্তু হঠাৎ মোহন সিরিজের “কি হইতে কি হইয়া গেল” স্টাইলে দ্বিতীয় গরুর গাড়ির
গরু চার পা তুলে লাফিয়ে উঠে গাড়ি নিয়ে নেমে গেল মাঠে ।আমাদের গাড়ি লগবগ করতে করতে একবার কাত হয়ে কোনোরকমে রাস্তার ওপরেই দাঁড়িয়ে পড়ল। “ভিড়ক্যা গরু.... দিয়েছিল আজ জানে মেরে”.... ঝাঁকুনির চোটে মাথা ভোঁ ভোঁ করলেও গরুর বিশেষণ আমার কান এড়ায়নি।
জানা গেল কিছু কিছু গরু চারচাকা গাড়ি মোটেও পছন্দ করেনা। তারা বিগড়ে গিয়ে হঠাৎ তুর্কি নাচ শুরু করার মানেই হল “গরু ভিড়ক্যা গেছে”। বোধ হয় “ভড়কে গেছে”র বাঁকুড়া সংস্করণ ।
বিশেষ জরুরী কাজে একদিন যেতে হল বিষ্ণুপুর। সেখানে বড় এক মিটিং।মূল মিটিং শেষ
হওয়ার পর কর্মপদ্ধতি ঠিক করার জন্য আবার বসতে হল রেঞ্জ অফিসারদের সাথে।
“বুঝেছেন তো ঠিক ভাবে? এখনও বলুন, দরকারে আবার বলে দিচ্ছি”
“একান্ত ম্যাডাম, একান্ত”।জোর গলায় উত্তর।
আমার জানা শব্দের অজানা প্রয়োগে আমি আবার ধরাশায়ী।“একান্ত” শব্দটির এমন প্রয়োগ অথবা
আর্ষপ্রয়োগ আমার ভাষাজ্ঞান পরিধির বাইরে। আমার হতভম্ব দশা দেখে পাশে বসা “ছোটবাবু”
মানে বীট অফিসার বুঝলেন আমি রেঞ্জ অফিসারের উত্তরের মানে বুঝিনি। তিনি প্রাঞ্জল করে
দিলেন। “আপনি সব বুঝ্যায়ে দিলেন তো স্যার, বড়বাবু সেটাই বলে আপনাকে যে কাজ হয়্যা
যাবে।” “বড়বাবু” মানে রেঞ্জ অফিসারের মাথা নাড়ানো দেখে আমি নিশ্চিন্ত হই। বুঝলাম
এক্ষেত্রে “একান্ত” মানে হল গিয়ে “ অবশ্যই” । মনে মনে ভাবি বাংলাতেই তো সবাই কথা
বলছি, তাও কিনা আমার দোভাষী লাগছে! মনে পড়ে গেল আমার বাবা যখন তাঁর
ভাইবোনদের সঙ্গে খাস সিলেটি ভাষায় কথা বলতেন তখন কলকাতাই বাংলায় অনুবাদ করে না
দিলে একটা শব্দেরও মানে বোঝার সাধ্য আমার ছিলো না।
আজ থেকে তিরিশ বত্রিশ বছর আগে, পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা শহর, বড় জেলা শহর আর
ছোটোখাটো মফস্বল শহরের সবকিছুই ছিল আলাদা। তখন আমার মত কচিকাঁচা অফিসারদের
কলকাতা বা আর কোনো বড় শহর থেকে হঠাৎ ছোট কোনো জেলা শহরে এসে উপস্থিত হয়ে
প্রথম প্রথম খাবি খাওয়া ছিল খুব সাধারণ ব্যাপার। আমিও একটু অন্য রকম কথ্য ভাষা, একটু
অন্য রকম খাবার , অচেনা মানুষজন আর অজানা কাজের মাঝে পড়ে নাকানি চোবানি খেয়েছি
বিস্তর। আমার সহকর্মী সব রোদে পোড়া তামাটে কর্মঠ বনকর্মীরাই আমাকে ভরসা দিয়ে, পাশে
থেকে, বাড়ি থেকে খাবার এনে খাইয়ে “মানুষ করেছেন” বলা যায়। কাজ থেকে ফেরার পথে
গাড়ি দাঁড় করিয়ে “ম্যাডাম বেগুনি খাবেন?” বলে কুমড়ো ভাজা নিয়ে এলে আমি অকৃতজ্ঞের
মত একটু ঘ্যানঘ্যান জুড়ে দিলে মাঝবয়সী বীট অফিসার স্নেহের চক্ষে আমার দিকে তাকিয়ে
বলেছেন, “ এখানে ডিংলারই বেগুনি পাওয়া যায়, খুব ভালো”।“তাহলে এটা বেগুনি না,
ডিংলানি”…হাসিঠাট্টার মধ্যে দিয়ে সহজ হয়ে যায় সম্পর্ক। একটু করে বেড়ে উঠি।
মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, সুন্দরবন বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় যেখানেই
গেছি, আমার এই সব সহকর্মীরা মন উজাড় করে ওদের ভাষায় কথা বলেছে। ওদের কাছেই
আমি জেনেছি, কোন জমিকে বলে “ডাহি”, কাকে বলে “টাঁড়”, আর কাকে বলে “শালি”।ধান
কাটার সময় গ্রামের মেয়েপুরুষে মিলে “নাবাল খাটতে হুই বদ্দমান(বর্ধমান জেলা)গেলে দুটা
পইসা বাড়তি পাওয়া যায়”। ওদের কাছেই শিখেছি নিলামের জন্য জ্বালানি কাঠের লট বানাতে
হলে দেখতে হয় “লেবার কাঁইচি মেরেছে কিনা”। ওরাই বলে দিয়েছে সুন্দরবন এলাকায়
গ্রামের লোক “চরপাটা জাল” পাতলে ম্যানগ্রোভ প্ল্যান্টেশনের বিপদ কি।
আমাদের এই বাংলা কথ্য ভাষার শব্দ আর বাক্যবিন্যাসের ধরণ নিয়ে ভাবতে গেলে তাক লেগে
যায়। বিভিন্ন জেলায় শুধু নয়, এক ই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কথ্য ভাষার রূপ বদলে যায়।
মেদিনিপুরের উড়িষ্যার দিকের ভাষা আর অন্যদিকের কথ্য ভাষা এক নয়, জলপাইগুড়ির কথ্য
ভাষা আর পুরুলিয়ার কথ্য ভাষা এক নয়। গত তিরিশ বছরের চলার পথে বাঙলা কথ্য ভাষার
এই সব “বিবিধ রতন” কুড়িয়ে আমার ঝোলায় ভরে নিয়ে হেঁটে চলেছি। চলার আনন্দে সে
ঝোলা ভারি লাগে নি কক্ষনো।
লেখক পরিচিতি: লেখক পশ্চিমবঙ্গের বনবিভাগের Chief Conservator of Forests পদে কর্মরত।
コメント