top of page

বাঘের বান্ধবগড়, বান্ধবগড়ের বাঘ

  • ..
  • Jul 27, 2023
  • 6 min read

মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ বাঘেদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। সেখানে বনে ঘুরে ঘুরে বাঘ দেখার অভিজ্ঞতা ডালিয়া দে'র কলমে ও ছবিতে।



ree

গ্রীষ্মের ছুটি মানেই এক মাসের লম্বা অবকাশ,সুযোগ পেলে এদিক ওদিক বেরিয়ে পড়া। কিন্তু ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির নেশাটা মাথায় চাপার পর থেকেই গ্রীষ্মের গন্তব্য স্থল নির্বাচনে এসে গেল পরিবর্তন। জঙ্গলের প্রতি ভালবাসা আর বাঘের ভালো ছবি তোলার তাগিদ বছরের বিভিন্ন সময়ে আমাকে টেনে নিয়ে যায় কোনও না কোনও জঙ্গলে। আর গরমে বাঘ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশিই, কারণ প্রচণ্ড গরমে বাঘেরা জঙ্গলের ধারের ওয়াটার হোল গুলিতে জল খেতে আসে , ঘণ্টার পর ঘণ্টা গা ডুবিয়ে বসে থাকে।

ree

আর সে জন্যই এবার গন্তব্য স্থল হিসেবে বেছে নিলাম বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ কে। টালা ,মাগদি, খিটোলি মূলত এই তিনটি কোর জোন বান্ধবগড়ের, কিন্তু এখন বেশ কিছু বাফার জোন ও খোলা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে বাঘের ঘনত্ব বেশি বান্ধবগড়ে । মূলত সেই কারণেই বান্ধবগড় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে ফেললাম।



বিন্ধ্যপর্বত মালার কোলে বিস্তীর্ণ ঘাস জমি , শাল ,সেগুন ,মহুয়া ,বাঁশ ,আমলকী ,জামের সমন্বয়ে প্রায় ৫০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত জঙ্গলের নাম বান্ধবগড় । ১৯৬৮ সালে ১০৫বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বনভূমি জাতীয় উদ্যান বলে ঘোষিত হয় । পরবর্তীকালে অবশ্য এর আয়তন বাড়ে। ১৯৭২ সালে প্রোজেক্ট টাইগার এর আওতায় আনা হয় এবং উমারিয়া ও কাটনি জেলা জুড়ে বিস্তৃত বাফার জোনের আয়তন ৮২০ বর্গ কিলোমিটার হয় ।

অপেক্ষাকৃত কম পরিসরে বন ও বন্যপ্রাণীর এমন বৈচিত্র্য খুব কম জায়গাতেই চোখে পড়ে । জঙ্গলের প্রান্তে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় আর সেই পাহাড়ের মাথায় প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো বান্ধবগড় কেল্লা , রেওয়ার রাজারা শিকারের জন্য এই দুর্গটি ব্যবহার করতেন শোনা যায় । মহারাজা ভেঙ্কট রমণ সিং ১১১ টি বাঘ শিকার করে রেকর্ড গড়েন ,তাই একসময় জঙ্গল বাঘ শূন্য হয়ে পড়ে।

ree

দুর্গের চত্বরে শোয়ানো আছে এক বিশাল বিষ্ণুমূর্তি আর তার মাথার পেছনে পাহাড়ের গা বেয়ে তিন ধারায় ঝরে পড়ছে ঝর্ণা ,মানুষজন না থাকায় বাঘেরা এখানে জল খেতে আসে । দুর্গের চাতাল থেকে বান্ধবগড় জঙ্গলের একটা সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় । শোনা যায় রামায়ণের যুগে নাকি লঙ্কার ওপরে নজর রাখার জন্য রাম তার ভাই লক্ষণ কে এখানকার দুর্গ দান করেন। সংস্কৃত ভাষায় বান্ধবগড় মানে ভাইয়ের দুর্গ ।

ree

জব্বলপুর থেকে বান্ধবগড় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ। এয়ারপোর্টে যখন নামলাম তখন প্রায় সাতটা বেজে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে গাড়ির জার্নি আমার বরাবরই প্রিয় আর তা যদি হয় জঙ্গলের উদ্দেশ্যে তা বেশি রোমাঞ্চকর ।

তীব্র বেগে গাড়ি ছুটে চলেছে হাইওয়ে ধরে। গাড়ির গতি এক সময় কমলো। ড্রাইভার বলে উঠল 'জঙ্গল ক্যাট ম্যাডাম '! বড়োসড়ো একখানা বন বিড়াল পাশের ঝোপ থেকে লাফিয়ে পড়ল রাস্তার উপর। রাতের অন্ধকারে ঘাপটি মেরে বসে আছে গোটা জঙ্গল । রাত প্রায় সাড়ে দশটা। প্রকৃতি ঝিমিয়ে পড়েছে ।লজে এসে তাড়াতাড়ি ভোজন পর্ব চুকিয়ে নিজের কটেজে এলাম ।


পরদিন সকাল সকাল রাঘব ঘরে এসে চা আর বিস্কুট দিয়ে গেছে, ঝটপট সেটা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম । লজ থেকে জলখাবার পরিপাটিভাবে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে আমাদের ,গাড়ি ছুটলো টালার উদ্দেশ্যে । সাড়ে পাঁচটা থেকে সাফারি।

ভোর তখন সবে পাঁচটা। বান্ধবগড় পার্কে ঢোকার রাস্তা তখনও নিদ্রামগ্ন। রাস্তার দু'পাশে কালো মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রয়েছে লম্বা লম্বা বৃক্ষরাজি। সাড়ে পাঁচটা বাজতে না বাজতেই সিংহ দুয়ার খুলে গেল ,আমাদেরই প্রথম গাড়ি । আকাশে এখনো আলো পুরোপুরি ফোটে নি। ভোরের আবছা আলোয় অরণ্যের নির্মল রূপ অস্পষ্ট । আমাদের বাহন এগিয়ে চলেছে গহীন বনের অভ্যন্তরে বন থেকে বনান্তরে । গাইড একজন দক্ষ বনচারী মতো এদিক ওদিক লক্ষ্য রেখে চলেছে । জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে আঁকাবাঁকা রাস্তা আর প্রতিটা বাঁকেই মনে হচ্ছিল এই বুঝি ঝোপের আড়াল থেকে বাঘ এসে আমাদের দর্শন দেবে । সম্বর হরিণ টা জল খেতে এসেছে পথের ধারের কৃত্রিম জলাশয়টিতে ।

কিছুক্ষণ ইতিউতি বাঘের সন্ধানে ঘোরার পর একটা ওয়াটার হোলের কাছে গাড়ির লম্বা লাইন দেখতে পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম, কিন্তু এক ঝলক দেখা দিয়েই জল থেকে উঠে চলে গেল অতীব সুন্দরী বাঘিনী কাজরি । তার গায়ের কালো হলুদ ডোরা কাটার এক অদ্ভুত সুন্দর ধরন দেখেই নাকি তার নাম হয়েছে কাজরি ।

ree

আমাদের দিকে একবারটি অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকিয়ে সে সামনের দিকে এগিয়ে চলল ,ওর পিছু পিছু গেলাম অনেকটাই। কিছুদূর গিয়ে গহন অরণ্যে মিলিয়ে গেল সে ।

বনের আঁকা বাঁকা পথ ধরে গাড়ি এগিয়ে চলেছে । হনুমানগুলো এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে । জঙ্গলের ভেতরে আমাদের তল্লাশি চলতে থাকল। অনেকক্ষণ বাঘের সন্ধানে ঘুরলাম । পথে গোল্ডেন জ্যকল ,প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার ,ব্রাউন ফিশ আউল পেলাম। তাদের বেশ কয়েকটি ছবিও নিয়ে নিলাম ঝপঝপ।

জঙ্গলের মধ্যে লাল মাটির রাস্তা, কোথাও উঁচু-নিচু টিলা আর তারই মধ্যে ইতিহাসকে সাক্ষী করে জেগে আছে বান্ধবগড় দুর্গ। এ জঙ্গলের একটা অন্যরকম সৌন্দর্য আছে । গাছেরা একে অপরকে জড়িয়ে পেঁচিয়ে মাঝেমধ্যে এক জটিল অন্ধকারের সৃষ্টি করেছে । ঘুরতে ঘুরতে সময় এগিয়ে চলল । জিপসি ড্রাইভার পঙ্কজ বলল 'চালিয়ে ম্যাডাম ,টাইম হো রাহা হে ' কিছুটা হতাশ হয়েই বেরিয়ে পড়লাম যদিও মনের মধ্যে আশা ছিল পরবর্তী সাফারি গুলোতে নিশ্চয়ই এ অভাব পূর্ণ হবে।

মধ্যাহ্নভোজে ভাত ,ডাল ,আলু গোবি ,কাতলা মাছের কারি ,স্যালাড আর দই পরিবেশিত হল । ওরকম জমজমাট মধ্যাহ্নভোজন সেরে অবশ্য বিশ্রাম নেয়ার অবকাশ পেলাম না। বিকেল তিনটের মধ্যে বেরিয়ে পরতে হল সাফারি শুরু চারটে থেকে ।

তীব্র গরমের ঝাঁঝালো দুপুরের উষ্ণ অভ্যর্থনায় পিঠ সেঁকতে সেঁকতে চলেছি । ম্যানেজার বাবু একটা আইস বক্স ভরে জলের বোতল ও জুস তুলে দিয়েছে গাড়িতে । চওড়া ঘাস জমির ওপর একদল চিতল হরিণ ঘাস খাচ্ছে ,কেউ কেউ মাঝেমধ্যেই মুখ তুলে এদিক ওদিক দেখছে বিপদের আশঙ্কায় । একজোড়া বাঁদর তাদের ছানাপোনাদের নিয়ে মনের আনন্দে কালোজাম চিবোচ্ছে ।

খবর পেলাম বড়ো জলাশয় এর কাছে ডটির তিন বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছে তাড়াতাড়ি গিয়ে পজিশন নিয়ে নিলাম ।

ree

দূরে ঝোপের আড়ালে আরামে দিবানিদ্রায় রত দুজন আর একজন ধীরে ধীরে এক পা এক পা করে এগিয়ে এলো জলের দিকে । জল খেলো ,জলে বসেই রইল ঘন্টাখানেক । বেশ কিছু সুন্দর ছবি নিয়ে নিলাম তার । একটা মাছরাঙ্গা টপাটপ জল থেকে মাছ ধরছে আর গাছের ডালে গিয়ে মুখে পুরছে । এতক্ষণে প্রচণ্ড গরমে ঝিমিয়ে পড়া মানুষগুলো সতেজ হয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে ।

ree

একদল বাঁদর পিপাসার্ত দৃষ্টিতে জলের দিকে তাকিয়ে কিন্তু জলে নেমে জল খাওয়ার সাহস মনের মধ্যে যুগিয়ে উঠতে পারছে না মামাজির ভয়ে । একজোড়া ময়ূর তেষ্টা মিটিয়ে গেল মামাজি কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, কিন্তু বাঘ মহাশয় জল থেকে উঠবার নামই করে না । মাঝেমধ্যে ঘুরে ঘুরে আমাদের দিকে তাকাচ্ছে আবার চোখ বন্ধ করে জলে ভেসে বেড়াচ্ছে । কিছুক্ষণ বাদে ধীরে ধীরে ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে জলের দিকে এলো আরো দুজন । তাদের জলকেলির বেশ কয়েকটি সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করলাম । মনটা আনন্দে ভরে গেল। একাধিক বাঘের দর্শন পেয়ে আমার খুশির অন্ত ছিল না । তারা জল থেকে উঠে যাওয়ার পর বানর সেনা এবং হরিণ দল পিপাসা মিটিয়ে গেল।


ree

ree

সন্ধ্যা নেমে আসার আর বেশি দেরি নেই। ঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারলে আবার ড্রাইভার এর ফাইন হবে, তাই আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়লাম। হোটেলে এসে গরম চা আর চিকেন পকোড়ার সাথে মনের তৃপ্তি মেটালাম।

পূর্ণিমার আলোয় সমগ্র জঙ্গলটা এখন যেন রূপকথার মত লাগছে। বনবাংলোর গা ঘেঁষেই জঙ্গল ।স্পট লাইটের আলোয় অজস্র জোনাকির মতো চোখ জ্বলে। চিতল হরিণের চোখ ওগুলো।রাতের বেলা সম্ভবত: নিজের প্রাণ বাঁচাতেই হরিণের দল লোকালয়ের আশেপাশে চলে আসে ।

ডাইনিং হলটা এখন দেশি দেশি চিকেন কারীর গন্ধে ম ম করছে গরম গরম ভাত মিক্সড ভেজিটেবল আর দেশী চিকেন কারি পরিবেশিত হলো। আর দেরি না করে ডান হাতের কাজটা তাড়াতাড়ি সেরে নিলাম।

পরদিন মাগদি । বেরিয়ে পড়লাম ঠাকুর ঠাকুর করে।

ree

মাগদির নৈসর্গিক সৌন্দর্য, প্রাকৃতিক বৈচিত্র পর্যটকদের মনকে আকৃষ্ট করে। তুলনায় ঘন মাগদি। একটা ছোট মাঠের উপর অজস্র শকুন বসে শুকনো হাড়গোড় চিবোচ্ছে। একদল হরিণ একছুট্টে রাস্তা পার করলো। এক হরিণ শাবক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ঠায় তাকিয়ে রইল আমাদের দিকেl জিপসি ড্রাইভার বলে উঠলো 'আজ সুখিপাতিহা ( বাঘিনী )কো ট্রাই করেঙ্গে ম্যাডাম, ছোটে ছোটে বাচ্চে হ্যায় উসকি ,আগার মিল যায়ে তো বহুৎ আচ্ছা পিকচার আয়েগা।' আর লোভ সংবরণ করতে পারলাম না চটপট সিদ্ধান্ত নিলাম সুখিপাতিহাকে পেতেই হবে । পঙ্কজ দু'দিকের রাস্তার ওপর টাইগার পাগমার্ক খুঁজতে খুঁজতে চলেছে ,কিছুদূর যাবার পরই রাস্তায় পাগমার্ক দেখা গেল। সাথে বাচ্চাদের বসার খেলার চিহ্ন ।

কিন্তু কোথায় সে ? ঝোপঝাড় পূর্ণ একটা জায়গায় গাড়ি এসে দাঁড়ালো। খুব বেশি গাড়ি এদিকে আসেনি । আমরা ছাড়া আরেকটি গাড়ি । বাইনোকুলারে চোখ লাগিয়ে খুঁজতে লাগলাম । ঝোপের মধ্যে থেকে খসখস শব্দ শুনে সবাই ঝুঁকে পড়ে অপেক্ষা করছি তখনই ঝোপের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো একটা শিয়াল। সম্ভবত কিছু খাবারের সন্ধানে ঘুরছে শিয়ালটা ।

ree

যা তাহলে বাঘ নয়! ঠিক সেই সময় চিতল হরিণটা চেঁচিয়ে উঠলো । সিটের ওপরে উঠে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো ড্রাইভার ও গাইড দু'জনেই।

আচমকা পঙ্কজ বলে উঠলো 'টাইগার টাইগার '!

সেদিকে তাকিয়ে দেখি জঙ্গলের ভেতর থেকে রাজকীয় চালে হেঁটে যাচ্ছে এক বিরাটকায় বাঘিনী আর তার পিছু পিছু তার তিন ছোট্ট ছোট্ট শাবক। এক কৃত্রিম জলাশয় এর কাছে এসে দাড়ালো মা, তারপর একে একে লাইন দিয়ে বাচ্চারা জলের দিকে নামতে লাগলো । একটি তো নামতে গিয়ে উঁচু ঢিবি থেকে কুপোকাত হয়ে সোজা নিচে পড়ে ধুলোয় খানিক গড়াগড়ি খেয়ে নিল । জলের মধ্যেই মা আর তার সন্তানদের খেলা ও আদরের পর্ব চলল কিছুক্ষণ ।কিন্তু আচমকা একটি বাইক এসে পড়ায় ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি বাচ্চাদের নিয়ে জল থেকে উঠে চলে গেল সুখিপাতিহা । আমরাও তার পিছু নিলাম ।

ree

ree

বাচ্চা গুলি একে অপরের সঙ্গে খুনসুটিতে করতে করতে মায়ের পিছু পিছু এগোচ্ছে, মাঝে মাঝে আবার আড়চোখে পিছনে আমাদের দিকে তাকাচ্ছে । এভাবে আস্তে আস্তে গুহার দিকে চলে গেল তারা । দেখতে দেখতে চোখের সামনে মিলিয়ে গেল মা আর তিনটি দুরন্ত ব্যাঘ্র শাবক । এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইলাম আমরা । চোখটা বন্ধ করে মনের মধ্যে চিরদিনের জন্য গেঁথে নিলাম এ দৃশ্য । নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যা দেখলাম। সত্যিই জঙ্গল কখনো কাউকে নিরাশ করে না । ভালোলাগার ভালোবাসার একরাশ তৃপ্তি নিয়ে লজে ফিরে এলাম।

ree


লেখক পরিচিতি: লেখক পেশায় শিক্ষিকা। প্রকৃতিপ্রেমিক ও বন্যপ্রাণী নিয়ে আগ্রহী।

Comments


86060474-00b1-415d-8c11-9c4471c9c5e7.png
Royal_Bengal_Tiger_Kanha.JPG

Editor: Dr. Sumanta Bhattacharya
 

  • Facebook

follow our facebook page to stay updated

© 2021 by Boney Pahare. All rights reserved.

bottom of page