শিল্প, যানবাহন, বিদ্যুৎশক্তির মতই গুরুত্বপূর্ণ হল আমাদের খাদ্যাভাস। গোটা পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে যে খাদ্যাভ্যাস গড়ে উঠছে তা জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করছে। সেইসবের বিশ্লেষণ করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা World Wildlife Fund বা WWF বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে ভারতের বৃহৎ অংশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসকে পরিবেশের স্বপক্ষে সবচেয়ে উপযোগী খুঁজে পেয়েছে। আলোচনায় সুমন্ত ভট্টাচার্য্য।
World Wildlife Fund (WWF) এর সাম্প্রতিক যে Living Planet Report 2024 প্রকাশ হল তাতে পৃথিবীতে পরিবেশ ধ্বংস ও জীববৈচিত্রের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে বিস্তারে আলোচনা হয়েছে। সেখানে পরিবেশ ধ্বংসের অন্যতম বড় কারণ হিসাবে কৃষি ও পশুপালনকে নিয়ে যে সবিস্তার আলোচনা রয়েছে তাতে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলির খাদ্যাভ্যাস যে পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনছে তা তথ্য সহকারে তুলে ধরেছেন গবেষকরা। শুধু আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষবাস করলেই হবে না, বিশ্বের বড় একটা অংশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন না আনলে যে বিপদ খুব দ্রুত ঘনিয়ে আসবে তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যেই আশার আলো দেখানোর মত একটা ব্যতিক্রমী স্থানে রয়েছে আমাদের দেশ । ভারতের যে প্রথাগত খাদ্যাভ্যাস তা অনুসরণ করলে যে বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও জীববৈচিত্র ধ্বংস রোধ করার কাজে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে তা আরো একবার স্পষ্ট হয়ে গেল প্রাপ্ত তথ্যে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী গত পঞ্চাশ বছরে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৭৩%! অর্থাৎ তিন চতুর্থাংশ প্রাণী হারিয়ে গেছে। আর তার জন্য দায়ী এক ও একমাত্র মানুষের কার্যকলাপ। প্রতি বছর তা কমছে ২.৬ % শতাংশ হারে। স্থলভাগ, নদী ও জলাশয় এবং সমুদ্র- সব স্থানে বসবাসকারী প্রাণীদের তথ্য সংগ্রহ করেই এই পরিমাপ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা লাতিন আমেরিকার। সেখানে এই বন্যপ্রাণীর হারিয়ে যাওয়ার মাত্রা ৯৫%!! তারপরেই আফ্রিকায় ৭৬%। তার মানে এই নয় যে এইসব অঞ্চলের মানুষ এর জন্য দায়ী। অন্য কোন অঞ্চলের মানুষের বাড়তি চাহিদা পৃথিবীর অন্য কোন এলাকায় পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংসের কারণ হতে পারে। ওই দুটি মহাদেশে জীববৈচিত্র ধ্বংসের হার সবথেকে বেশি হলেও পৃথিবী জুড়ে ইওরোপ ও মধ্য এশিয়ার মানুষের বিভিন্ন চাহিদার কারণে প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা বা ecological footprint of consumption সব থেকে বেশি।
এই জীববৈচিত্র ধ্বংসের মূল কারণ হিসাবে WWF রিপোর্টে প্রাকৃতিক আবাসভূমির ধ্বংস (Habitat loss/degradation), চোরাশিকারের কারণে হত্যা, বিশ্ব উষ্ণায়ন, পরিবেশ দূষণ, বহি:পরিবেশ থেকে আগত প্রাণীপ্রজাতি বা Invasive species (বিশেষত মাছেদের ক্ষেত্রে)- এসবকেই দায়ী করা হয়েছে মূলত:। এর মধ্যে সব মহাদেশ থেকেই পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রাকৃতিক আবাসভূমির ধ্বংস বা Habitat loss/degradation কে’ই মূল বিপদ হিসাবে চিহ্নিত করা যাচ্ছে।
বিভিন্ন বিপদের কারণের মধ্যে কৃষি ও খাদ্যাভ্যাসের কথা বড় করে উঠে এসেছে WWF এর এই রিপোর্টে। WWF সরাসরি বলছে- “The global food system is inherently illogical. It is destroying biodiversity, depleting the world’s water resources and changing the climate, but isn’t delivering the nutrition people need.” জীববৈচিত্র ধ্বংসের যে বৃহৎ কারণ হিসাবে Habitat loss/degradation কে দায়ী করা হচ্ছে, তার পিছনে মূল কারণই হল অনিয়ন্ত্রিতভাবে কৃষিকাজ ও পশুপালনের বিস্তার। এইসবের জন্য যে পরিবেশ ধ্বংস হয় তার মূল্যমান বছরে 10–15 trillion মার্কিন ডলার। তা সত্ত্বেও পৃথিবীর বড় একটা অংশের মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে একদিকে, অন্যদিকে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোয় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের ফলে Obesity এর মত অসুখের প্রকোপ বিরাট।
কৃষিকাজ ও পশুপালন গোটা পৃথিবীর চরিত্রকে আমূল বদলে দিয়েছে কয়েক দশকে। পৃথিবীর সমস্ত জমির ৪০% বা ৪.২ বিলিয়ান হেক্টর ব্যবহৃত হয় মানুষের খাদ্য উৎপাদনেই। এই ৪০% এর মধ্যে ৭১% বা ৩ বিলিয়ান হেক্টর পশুপালনের ব্যবহার হয়। আর ১.২ বিলিয়ান হেক্টর ফসল উৎপাদনে। এই ৪.২ বিলিয়ান হেক্টারের উপরে আরো ৪৬০ মিলিয়ান জমি ব্যবহার হয় পশুদের খাবার উৎপাদনে। সুতরাং কৃষিজ কাজে ব্যবহৃত জমির ৮২% পশুপালনেই লেগে যায়। এই ব্যপকভাবে বাণিজ্যয়ানের ফলে ফসলের বৈচিত্র যেমন কমেছে কত একশ বছরে,তেমনই কমেছে পালিত পশুর বৈচিত্রও। ৯০% বিভিন্ন ধরনের ফসলই উধাও হয়ে গেছে কৃষিজমি থেকে। হারিয়ে গেছে আর্দ্ধেকের বেশি ধরনের গবাদি পশু। পৃথিবীতে ফসল মূলত: এখন দশটি- বার্লি, ধান, গম, কাসাভা, রাই, মকাই, জোয়ার, আখ, সয়াবিন ও পাম তেল। সমুদ্রেরও ৫৫% এলাকা জুড়ে চলে বাণিজ্যিকভাবে মাছ ধরা। এর বেশিটাই উপকূল সংলগ্ন অগভীর সমুদ্রে হয়। সেখানকার প্রকৃতি এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনই অনেক সামুদ্রিক প্রজাতির অস্তিত্ব সংকটে চলে যাচ্ছে। এর হাতের কাছে উদাহরণ আমাদের ইলিশ মাছ বা ওড়িশা উপকূলে অলিভ রিডল কচ্ছপ। এছাড়াও ৩০ লাখ হেক্টরের উপর উপকূলভূমির ম্যানগ্রোভ অরণ্য সহ আরো সব এলাকা মৎস্যচাষ (মূলত চিংড়ি ও তেলাপিয়া)-এর কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
পৃথিবীর অরণ্যভূমি ধ্বংসের পিছনে ৯০% দায়ী কৃষিকাজের বিস্তার। তার বেশিটাই হয়েছে ক্রান্তীয় বা tropicl/ sub-tropical অঞ্চলে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাজনের অরণ্যের ২০% ধ্বংস হয়ে গেছে মূলত: পশুপালনের জন্য। এই অঞ্চলগুলি পৃথিবীর সবথেকে জীববৈচিত্রে ভরা অঞ্চল। ফলে এখানকার অরণ্য ধ্বংসের ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র কমেছে। এর ফল যে উষ্ণায়ন ঘটছে তা পরবর্তীতে কৃষিকাজকে প্রভাবিত করছে। এই অরণ্যের ধ্বংস শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, সারা পৃথিবীর জলবায়ুর উপরেই প্রভাব ফেলবে। Amazon Environmental Research Institute (IPAM) এর ২০২১ এ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে মাংস ও দুগ্ধকাত পণ্য উৎপাদনের জন্য গবাদিপশুর চারণভূমি তৈরি করা ৭৫% দায়ী এই রেইন ফরেস্ট ধ্বংসের পিছনে। এছাড়াও গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য সয়াবিন জাতীয় শস্যের চাষের জন্যও দখল হয়ে যাচ্ছে বড় অংশের বনভূমি। ব্রাজিল বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বীফের জোগান দেওয়া রাষ্ট্র।
এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্রীণ হাউস গ্যাস উৎপাদনে কৃষিকাজ একটি বড় ভূমিকা রাখে। ২৭% গ্রীণ হাউস গ্যাস আসে কৃষিকাজ থেকেই। এই ২৭% এর মধ্যে অর্দ্ধেকের বেশিটাই পশুপালনের জন্য হয়। ৩১% আসে গবাদি পশুর রোমন্থনের সময় তৈরি মিথেন গ্যাসের জন্য , ৬% হয় পশুদের জন্য খাবার তৈরির কারণে আর ১৬% গ্রীণ হাউস গ্যাস তৈরির পিছনে দায়ী সেই খাবার উৎপাদনের জমি তৈরি করতে করা অরণ্য নিধন। অর্থাৎ মাংস ও ডেয়ারি জাতীয় খাদ্যগ্রহণের ফল উপভোক্তার কার্বন ফুটপ্রিন্ট বেড়ে যাওয়া। কার্বন ফুটপ্রিন্ট হলো যে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন, ঘটনা, বা পণ্যের দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিঃসৃত মোট গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ, বিশেষ করে কার্বন ডাইঅক্সাইড। এটি সাধারণত কার্বন ডাইঅক্সাইড সমমান (CO2e) একক দ্বারা পরিমাপ করা হয়। সহজ ভাষায়, এটি দেখায় যে আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ, যেমন গাড়ি চালানো, বিদ্যুৎ ব্যবহার করা এবং খাদ্য - কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে। কার্বন ফুটপ্রিন্ট যত ছোট হবে, পরিবেশের উপর আমাদের প্রভাব তত কম হবে। WWF ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মতে তাই কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর উপায় খাবারের পাত থেকেই শুরু করা। অর্থাৎ প্রাণীজ খাবারের বদলে আরো বেশি বিকল্প উদ্ভিজ বা নিরামিশাষী খাদ্যপ্রণালীর উপর জোর দেওয়া। United Nations তার একটি প্রতিবেদনে বলছে কোন ব্যক্তির বাৎসরিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট ২,১টন কমে যাবে যদি সে ভেগান খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করে আর ১.৫ টন কমবে যদি সে নিরামিশ খাদ্যের উপরে নির্ভর করে। তাদের মতে ২০২০ সালে যেখানে ব্যক্তিপিছু গড়ে ৬.৩ টন কার্বন ফুটপ্রিন্ট রয়েছে তা ২০৩০ সালে ২.১ টনে নামিয়ে না আনতে পারলে সমূহ বিপদ জলবায়ু পরিবর্তনের নিরীখে । বিশেষত: উন্নত বিশ্বের যেসব দেশে মাংস জাতীয় খাদ্য গ্রহণ অনেক বেশি স্বাভাবিকের তুলনায় ও obesity জাতীয় রোগের প্রকোপ বাড়ছে সেখানে এই বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আনা দরকার বলে WWF পরামর্শ দিচ্ছে। অপরপক্ষে যেসব দেশের বড় অংশে এখনও অপুষ্টির আধিক্য রয়েছে সেখানে প্রাণীজ প্রোটিনের ব্যবহার বরং বাড়ানো যেতে পারে বলে WWF অভিমত প্রকাশ করেছে। এছাড়াও খাদ্যদ্রব্যের অনাবশ্যক অপচয় রোধ ও দূর থেকে পরিবহন করে আনা খাদ্যের ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রিত হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সামগ্রিক পরিবেশের কথা ভেবে। ২০১৮ সালে Nature পত্রিকায় প্রকাশিত Options for keeping the food system within environmental limits নামে একটি গবেষণাপত্রে একই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণায় বলছে যদি পুরো বিশ্বের জনসংখ্যা প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর—যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অন্যান্য ধনী জাতির মত একই খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করে, তবে তা যোগান দেওয়ার জন্য খাদ্য উৎপাদনের ফলে উদ্ভূত গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। ফলে ২০৫০ সালে ১.৫°C তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা ধরে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা তা পূরণ করা যাবে না। বিশেষ করে, এই গ্যাস নির্গমন লক্ষ্যমাত্রার স্তরের ২৬৩ % বেশি হবে। এই নিয়ে WWF একটি দারুণ তথ্য দিয়েছে ছবির মাধ্যেমে যাতে দেখাচ্ছে বিভিন্ন বড় বড় দেশের খাদ্য অভ্যাস সারা পৃথিবী অনুসরন করলে ২০৫০ সাল অবধি কতটা জমি লাগবে তার ফলনের জন্য। এক্ষেত্রে সব থেকে খারাপ অবস্থা আর্জেন্টিনার। তাদের মত খাবার সারা পৃথিবী খেতে থাকলে ২০৫০ সাল অবধি ৭.৪২ টি পৃথিবী লাগবে সেই ফলন ফলাতে। এরপরেই আছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ব্রাজিল। বড় দেশগুলির মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও চীন আছে খাদ্যাভ্যাসের দিক থেকে সবথেকে পরিবেশবান্ধব অবস্থায়। যেখানে চীনের ক্ষেত্রে ২০৫০ সাল অবধি ওই মান ১.৭৭, সেখানে ভারতের ক্ষেত্রে তা ০.৮৪। অর্থাৎ ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাস বড় দেশগুলির মধ্যে সব থেকে কম চাপ ফেলে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উপর।
এছাড়াও এই রিপোর্টে ভারতে সম্প্রতি মিলেট জাতীয় ফসল উৎপাদনের উপর যে জোর দেওয়া হয়েছে National Millett Campaign এর মাধ্যমে, তারও উচ্চ প্রশংসা করা হয়েছে ও বাকি দেশগুলিকে এমন ভাবতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মিলেট হল একম একটি ফসল যা উৎপাদনে জল কম অপচয় হয়, রুক্ষ পরিবেশেও ফলন হয়। অন্যদিকে পুষ্টিকর একটি খাদ্য। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে এর গুরুত্ব অনেক।
ফলন হয় তাছাড়া প্রাণীজ প্রোটিনের বিকল্প হিসাবে ডাল জাতীয় খাদ্য ও বিভিন্ন বিকল্প সব্জি উৎপাদনে জোর দিতে বলা হয়েছে।
ভারতের একটা বড় অংশের মানুষই প্রথাগত কারণে নিরামিষ ভোজনে আস্থা রাখেন। অনেকের প্রাণীজ খাদ্য গ্রহণে বাধা না থাকলেও, তাদেরও খাদ্যের বড় অংশ জুড়ে বিভিন্ন সবজি, ডাল ও দানাশস্যের প্রচলন রয়েছে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এই ধরনের খাদ্যকে সাত্ত্বিক খাদ্য বলে তার গুণাগুন বর্ণনা করা হয়েছে। UN Food and Agriculture Organization এর তথ্য অনুযায়ী যেখানে আর্জেন্টিনা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ফ্রান্সের মত দেশ প্রাণীজ খাদ্যের উপর সব থেকে বেশি নির্ভরশীল সেখানে ভারত মাংস খাবার দিক থেকে সবথেকে নীচের দিকের দেশগুলির মধ্যে রয়েছে । বুরুন্ডি, কঙ্গো ও বাংলাদেশের ঠিক উপরে।
ভারতীয়দের এই খাদ্যভ্যাসের জন্যই এত বিপুল জনসংখ্যার দেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অনেকটা সাফল্য পেয়েছে বলে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন। যদিও বিপুল জনসংখ্যার চাপ এই দেশেও বনভূমি ও তৃণভূমির অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের খাদ্যাভ্যাস থেকে সারা পৃথিবীর শেখার আছে বলেই প্রমাণ করছে তথ্য ও বিজ্ঞান।
তথ্যসূত্র:
WWF (2024) Living Planet Report 2024 – A System in Peril. WWF, Gland, Switzerland.
BENDING THE CURVE: THE RESTORATIVE POWER OF PLANET-BASED DIETS (WWF)
Springmann, M., Clark, M., Mason-D’Croz, D. et al. Options for keeping the food system within environmental limits. Nature 562, 519–525 (2018).
S., D., N V, R. & Mishra, A. Traditional methods of food habits and dietary preparations in Ayurveda—the Indian system of medicine. J. Ethn. Food 6, 14 (2019).
লেখক পরিচিতি: লেখক পেশায় চিকিৎসক। প্রকৃতি ও অরণ্যপ্রেমী। 'বনেপাহাড়ে' ওয়েবজিনের সম্পাদনার দায়িত্বে।
Comments