জলবায়ু পরিবর্তন: চিরকালের অনাবৃষ্টির এলাকাতেও অতিবৃষ্টির বিপদে কৃষিকাজ
- ..
- Oct 8
- 5 min read
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা দেশ জুড়ে যে অতিবৃষ্টির সংকট দেখা দিয়েছে যার প্রভাবে হিমালয়ে ধ্বস থেকে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে - তার থেকে এমনকি রেহাই পাচ্ছে না খরাক্লিষ্ট অঞ্চলগুলিও। সেখানকার কৃষকরা জল সংকটের সাথে মানিয়ে যেভাবে কৃষিকাজে অভ্যস্ত, সেই সমীকরণ উল্টে যাচ্ছে। সংকটে কৃষিকাজ। সংকটে অর্থনীতি। লিখছেন সুরজ পাটকে।

মরাঠওয়াড়ার শুষ্ক অঞ্চল, যেখানে একসময় পানযোগ্য জল ট্রেনের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হতো, এখন বন্যার কবলে বিপর্যস্ত। ঐতিহাসিকভাবে শুষ্ক এই অঞ্চলে অতিরিক্ত জল এখন মানুষের জীবন ও জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে।
২০১২-১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মরাঠওয়াড়া অঞ্চল চারটি খরার মুখোমুখি হয়েছিল। সেই বছরগুলোতে বৃষ্টিপাত ছিল গড়ের প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ। এই দীর্ঘমেয়াদি খরার সময়কাল সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
তবে এ বছর অঞ্চলটি প্রবল বৃষ্টিপাতে নতজানু হয়েছে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাতের ১২৮ শতাংশেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি নদী ও খাল, এমনকি যে স্থানগুলো ঐতিহাসিকভাবে শুষ্ক হিসেবে পরিচিত, সেগুলিও প্লাবিত হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭২২.৫ মিমি, যা এই সময়ের স্বাভাবিক গড় ৬৭৯ মিমির চেয়ে বেশি। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে বৃষ্টির ধরন— যা ছিল আকস্মিক, প্রবল এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে। ফলে এই বৃষ্টিপাত ফসলের উপকার না করে বরং ব্যাপক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
“এই বছরের জুন মাসের শুরুতে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল যে বিদর্ভ ও মরাঠওয়াড়া অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। যদিও জুনের শুরুতে বৃষ্টি কম হয়েছিল, আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মরাঠওয়াড়ায় ৭৪৩ মিমিরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে,” বলেন ভারতের আবহাওয়া দফতরের (IMD) পুনে-ভিত্তিক বিজ্ঞানী অধ্যাপক এস. ডি. সানাপ। তিনি আরও যোগ করেন, “এ বছর বৃষ্টিপাত গড়ের চেয়ে বেশি হয়েছে।”
তীব্র বৃষ্টিপাতের ছোট ছোট পর্বগুলো দেখে অনেকের মনে হয়েছে যেন এটি মেঘভাঙা বৃষ্টি, কিন্তু সানাপ ব্যাখ্যা করে বলেন, এটি মেঘভাঙা নয়। “মেঘভাঙা বলতে বোঝায় এক ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত। এই ক্ষেত্রে বৃষ্টি অবশ্যই প্রবল ছিল, কিন্তু তা ২৪ ঘণ্টা ধরে হয়েছে। তাই একে অতিবৃষ্টি বলা যেতে পারে, একে মেঘভাঙা বলে নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা যায় না। আমরা এই ধরনের তথ্য নিয়মিতভাবে সরকার ও জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি,” তিনি বলেন।
সানাপ আরও জানান, এ বছরের ভারী বৃষ্টির পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে—ভারত মহাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধি, যার ফলে বৃষ্টির ধরণে পরিবর্তন এসেছে; প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা; এবং ওডিশা ও অন্ধ্র উপকূলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নিম্নচাপের সৃষ্টি। এই সমস্ত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াই বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করে।
এ পর্যন্ত অতিবৃষ্টিতে কমপক্ষে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে (২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী)। গবাদিপশুর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,০৬৭-এ এবং ২,০০০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৩,৯৬০টি গ্রাম কোনো না কোনোভাবে এই বৃষ্টির প্রভাবে আক্রান্ত হয়েছে। সংখ্যাগুলো ক্রমাগত বাড়ছে।
বৃষ্টির পাশাপাশি, জলাধারগুলো উপচে পড়তে শুরু করায় সেখান থেকে ১,০০,০০০ কিউসেকেরও বেশি জল ছাড়া হয়েছিল, যার ফলে প্রবল স্রোতে বহু কৃষিজমি, ঘরবাড়ি ও মানুষের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃষ্টিপাতের ধরণে পরিবর্তনের ফলে মরাঠওয়াড়ার কৃষকেরা এখন ভাবছেন—কীভাবে এই পরিবর্তনের প্রভাব থেকে নিজেদের জীবন ও জীবিকাকে রক্ষা করা যায়।
অতিবৃষ্টির প্রভাবে কৃষিজমিগুলিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—শুধু ফসলই নয়, অনেক জায়গায় মাটিও ভেসে গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সম্ভাজীনগর, জলনা, বিড, লাতুর, পরভনী, ধারাশিব ও হিঙ্গোলি জেলাজুড়ে প্রায় ১৭.৫ লক্ষ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সয়াবিন, ভুট্টা, তুলা, তুর (আরহার), কালো মসুর, শাকসবজি, মুগডাল, ফলমূল, জোয়ার, আখ ও হলুদের মতো সমস্ত ফসলই নষ্ট হয়েছে।
“আমি চার একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছিলাম। এখন আমার পুরো ক্ষেতটাই জলের নিচে। গত ৫-৬ বছর ধরে আবহাওয়া বোঝা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে—কখনো বৃষ্টি হয়, আবার বেশিরভাগ সময়ই হয় না। গত বছর বৃষ্টি না হওয়ায় আমার সয়াবিন ফলেনি। আর এ বছর এত বৃষ্টি হয়েছে যে পুরো ক্ষেতটাই এখন হ্রদে পরিণত হয়েছে,” বলেন হতাশ জলনা জেলার বদনাপুর তহসিলের খদগাঁও গ্রামের কৃষক উমেশ মোরে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃষ্টিপাতের ধরণে পরিবর্তনের ফলে মরাঠওয়াড়ার কৃষকেরা এখন ভাবছেন—কীভাবে এই পরিবর্তনের প্রভাব থেকে নিজেদের জীবন ও জীবিকাকে রক্ষা করা যায়।
“ক্ষতি কমাতে কি আমাদের বীজ বা ফসলের ধরন বদলানো উচিত? ফসলের চাষের প্যাটার্ন কি পাল্টাতে হবে? আর যদি তাই হয়, তাহলে বীজের দাম, সেচের অভাব, আর বাজারের অনিশ্চয়তা—এসবের মোকাবিলা কীভাবে করব?”—এই প্রশ্নগুলো নিয়েই তারা দিন কাটাচ্ছেন।
হাডগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলাবাই কাকদে বলেন, “এই বৃষ্টির কারণে আমরা প্রতি বছরই কাজ হারাই। সাধারণত গণপতি উৎসবের (আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে) পর আমরা খেতে আগাছা পরিষ্কারের কাজ পেতাম। কিন্তু এখন এই প্রবল বৃষ্টির কারণে সেই রোজগারের সুযোগও থাকছে না। আর যদি কাজ না পাই, তাহলে সংসার চলবে কীভাবে?”
কাজ হারানোর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে নারীদের ওপর, কারণ কৃষিকাজে তাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা মৌসুমি। অনেক নারী সয়াবিনের মতো নির্দিষ্ট ফসলের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করেন। মঙ্গলাবাই আরও বলেন, “এখন আবহাওয়া অনুমান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আজ দশ দিন হয়ে গেল—আমাদের মহল্লার একটিও নারী খেতে পা রাখেনি। কোনো দিনমজুর কাজ নেই, ফসলও উঠছে না। সরকার শুধু পরিস্থিতি দেখে, কিন্তু কোনো সাহায্য পাঠায় না। আমরা বাঁচব কীভাবে? পাঁচ বছর ধরে এই বৃষ্টিজনিত সমস্যার সঙ্গে লড়ছি। আনন্দ-উৎসব সব ভুলে গিয়েছি, শুধু এই দুর্দশার সঙ্গেই দিন কাটাচ্ছি।”
প্রবল বৃষ্টিপাতে হওয়া বিপুল ক্ষতির পর সরকার ₹২,২১৫ কোটি টাকার (₹২২ বিলিয়ন) ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত খরিফ মরশুমে যেসব কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন প্রায় ৩১ লক্ষ কৃষক এই আর্থিক সহায়তা পাবেন।
এই টাকা বিতরণের পর কৃষকের হাতে পৌঁছাতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগছে।
মরাঠওয়াড়ার বিবিসি সংবাদদাতা শ্রীকান্ত বাঙ্গালে জানান, কৃষকেরা চাইছেন সরকার যেন “ভেজা খরা” (Wet Drought বা মারাঠিতে “ওলা দুষ্কা”) ঘোষণা করে এবং সেই অনুযায়ী বাড়তি ক্ষতিপূরণ ও বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। “ভেজা খরা” এমন এক পরিস্থিতি যখন কোনো অঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি পেলেও বাস্তবে খরার মতো অবস্থা দেখা দেয়—যেমন ফসল নষ্ট হওয়া ও জলের অভাব। তবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এই দাবি এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ীই।
তবে কৃষকেরা বলছেন, এই বিদ্যমান নিয়মগুলোই পুরনো এবং ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাস্তবের তুলনায় অতি অল্প। মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত যে কৃষকদের ফসল বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে, তাঁরা প্রতি হেক্টরে বৃষ্টিনির্ভর ফসলের জন্য ₹৮,৫০০ এবং সেচনির্ভর ফসলের জন্য ₹১৭,০০০ করে পেতেন, সর্বাধিক ২ হেক্টর জমির জন্য। জানুয়ারি ২০২৪-এ সরকার এই হার বৃদ্ধি করে—বৃষ্টিনির্ভর ফসলের জন্য ₹১৩,৬০০ এবং সেচনির্ভর ফসলের জন্য ₹২৭,০০০, আর জমির সীমা বাড়িয়ে ৩ হেক্টর করা হয়। এটি নভেম্বর ২০২৩ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, একনাথ শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রিত্বে। কিন্তু মে ২০২৫-এ সরকার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে ২০২৫ সালের খরিফ মরশুম ও তার পরের জন্য আবার পুরনো (মার্চ ২০২৩-এর) হারই বহাল থাকে। ফলে যেখানে প্রতি হেক্টরে ₹১৩,৬০০ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, সেখানে এখন কৃষকেরা পাচ্ছেন মাত্র ₹৮,৫০০ বা প্রতি ১০০ গান্ঠা (১ হেক্টর) জমিতে ₹৮৫—যা কৃষকদের মতে অত্যন্ত অপ্রতুল।
বাঙ্গালে ব্যাখ্যা করেন, এই ₹৮,৫০০ ক্ষতিপূরণ কতটা অপ্রতুল। “ধরুন, সয়াবিনের উদাহরণ নেওয়া যাক। প্রতি একর জমির উৎপাদন খরচ প্রায় ₹২৫,০০০। অর্থাৎ এক হেক্টর (২.৫ একর)-এর মোট খরচ দাঁড়ায় ₹৬২,৫০০। কিন্তু সরকার সেই একই হেক্টরের জন্য সর্বাধিক ₹৮,৫০০ ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। এতে কৃষকের লোকসান থেকে যাচ্ছে ₹৫৪,০০০। এ বছরের এই অতিবৃষ্টির কারণে আগামী এক বছরের জন্য কৃষকের সম্পূর্ণ আর্থিক সমীকরণটাই ভেঙে পড়তে চলেছে।”
জলসংকট ও বন্যা—দুটোরই সমানভাবে পরিকল্পনা দরকার
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কৃষি, স্বাস্থ্য বা কর্মসংস্থানের ওপর নতুন কিছু নয়—দেশজুড়েই এই প্রভাব দৃশ্যমান। প্রতিটি জলবায়ুজনিত দুর্যোগের পর আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা কার্যকর করার সুপারিশ বা দাবি করা হয়।
এই বছর মরাঠওয়াড়ায় সরকার দাবি করেছে যে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (NDMA)-র ‘সচেত’ (Sachet) অ্যাপের মাধ্যমে তিন মিলিয়ন (৩০ লক্ষ) সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে, মানুষকে অতিবৃষ্টির বিষয়ে আগাম সাবধান করার জন্য। কিন্তু বাস্তবে এই তথ্যের বিস্তৃতি খুবই সীমিত বলে দেখা যাচ্ছে। ফুলাম্ব্রির কৃষক গজানন তারোটে বলেন, “সচেত অ্যাপটা কী, আমি এই নামটাই জানি না। কখনো কখনো আবহাওয়া দফতর থেকে আমাদের ফোনে লাল বা হলুদ সতর্কতা আসে, ওটাই দেখি।” তিনি ভারতের আবহাওয়া দফতরের (IMD) দেওয়া নোটিফিকেশনের কথাই বলছিলেন।
এদিকে, উমেশ মোরের পুরো গ্রাম খদগাঁও এ বছর বন্যায় ডুবে গিয়েছিল। তিনি বলেন, সচেত অ্যাপের নাম শুনেছেন, কিন্তু কখনো ব্যবহার করেননি। “কখনো ফোনে বার্তা আসে—বাতাসের গতি এত হবে, বৃষ্টি হবে ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। আবার কখনো বার্তা আসে তখন, যখন বৃষ্টি বা বজ্রঝড় ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে,” তিনি বলেন। এসব ভুল পূর্বাভাসের কারণে সতর্কবার্তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। “আমরাও ভাবছি ফসলের ধরন বদলাব, কিন্তু কীভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি পাব তা জানি না।”
বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের কথা বলছেন। জলবায়ু সহনশীল কৃষি পদ্ধতি চালু করা, কৃষকদের প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করা, সতর্কবার্তা ব্যবস্থা আরও সহজলভ্য করা, সময়মতো বিমা ও সাহায্য প্রদান করা এবং জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য শক্তিশালী পরিকল্পনা তৈরি করা—এই কয়েকটি সুপারিশ তাঁরা করেছেন। তবে বড় প্রশ্ন হলো, এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবে কার্যকর হবে তো?
বন্যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব এখনো পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি। কৃষকেরা যদি তাদের জমি পুনরুদ্ধার করতে না পারেন, তবে তাঁদের অনেকেই বাধ্য হয়ে শ্রমিকে পরিণত হবেন। মরাঠওয়াড়ায় জলসংকট মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা খুবই গুরুত্ব সহকারে করা হয়, কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের একই রকম সদিচ্ছা দেখা যায় না—এমনটাই অভিযোগ কৃষকদের।
মূল প্রবন্ধটি Mongabayপত্রিকায় প্রকাশিত। ইংলিশ প্রবন্ধটির অনুমতিক্রমে অনুবাদ করা হল বনেপাহাড়ের পাঠকদের জন্য। মূল প্রবন্ধটির লিঙ্ক: https://india.mongabay.com/2025/10/intense-rains-inundate-farms-in-region-known-for-droughts/
Comments