top of page

জম্বু দ্বীপ অভিযান

..

বনবিভাগের কাজে জড়িয়ে থাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গের বনবিভাগে কাজ করা আমলার কলমে উঠে আসছে তেমন কিছু সরস গল্প বনেপাহাড়ের পাতায়। তেমনই কিছু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের Chief Conservator of Forests লিপিকা রায়





“শুকো মাছের গন্ধ পাওয়া গেছে”……গন্ধ পাওয়া গেছে”……আমার নৌকোর কর্মচারীরা আনন্দে এমন চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দিল যে কলম্বাস আমেরিকার তটভূমি দেখতে পেয়েও এত উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন কিনা সন্দেহ। চুপি চুপি বলে রাখি সুন্দরবনে যাকে “শুকো মাছ” বলে , মানে শুঁটকি মাছ খেতে আমি দিব্যি ভালোবাসি; তা’ বলে পাহাড়প্রমাণ শুঁটকি মাছ এক জায়গায় থাকলে যে গন্ধ বার হয় তাতে মোটেও আমোদিত হই না। তবে সেদিনের ব্যাপারটা ছিল একেবারে আলাদা। ঘন কুয়াশায় নাস্তানাবুদ হয়ে সুন্দরবনের জম্বুদ্বীপ থেকে ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দর এক ঘন্টার জলপথ আমরা চার ঘন্টাতেও পৌঁছতে পারছিলাম না।

২০১৪ সালের February মাসের গোড়ার দিক। মানে মাঘ মাস। একদম “শান্ত নদীটি, পটে আঁকা ছবিটি।" দুপুর বারোটা নাগাদ বনবিভাগের ছোট্ট লঞ্চ “বনফুল” নিয়ে ফ্রেজারগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছি জম্বুদ্বীপ। সরকারি কাজের তত্বাবধান করতে। জম্বুদ্বীপ হল বঙ্গোপসাগর আর মুড়িগঙ্গার ঢেউ এর কোলে দুলতে থাকা মনুষ্যবসতিহীন ছোট্ট এক দ্বীপ।সারাদিন সমুদ্রের জল ছলাত ছলাত করে এসে ধাক্কা মারে তটে। বছরের বেশির ভাগ সময় নৌকো বা লঞ্চ নোঙর করে রাখাই সমস্যা।

প্রায় বছর কুড়ি আগে কিছু মহাজন মেদিনীপুর থেকে কয়েক'শো জেলে কে এনে হাজির করে এই দ্বীপে। উদ্দেশ্য বিশাল বালির চড়ায় মাছ শুকোনোর ব্যবসা করা।ধীরে ধীরে প্রায় গ্রাম বসে যায় এই দ্বীপে।ঘর বাড়ি, বাজার দোকান, মায় একখানা মন্দির ও। ধ্বংস হতে থাকে বাদাবন। বাদাবন বাঁচাতে বনবিভাগের সঙ্গে মৎস্য দপ্তরের মতবিরোধ গড়ায় সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেল যে মাছ শুকোনোর দাপটে এই ছোট্ট সবুজ দ্বীপটি ছাইরঙ্গা ফ্যাকাসে এক আধামরা দ্বীপ হয়ে গেছে।বাদাবন শেষ। অবশেষে সুপ্রীম কোর্টের আদেশে মৎস্যজীবিদের জম্বুদ্বীপ ছেড়ে যেতে হল অন্য জায়গায়।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা (দক্ষিণ) বিভাগে ডি.এফ.ও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেকবারই যেতে হয়েছে এখানে।নতুন করে কোনও সবুজ ধ্বংসের কারবার যাতে শুরু না হয়, তাই ক্যাম্প অফিস বসিয়ে বাদাবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ছ’জন কর্মচারি পাহারা দেয় দিনে রাতে।প্রত্যেকবার জম্বুদ্বীপ যাওয়া মানে অনেক তোড়জোড় আর জোয়ার ভাঁটার হিসেব কষা। এখানে পৌঁছে ডাঙায় নেমে কাজকর্ম করা যে কি রকম কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম ২০১৩ তে।

২০১৩র জানুয়ারী তে আমাকে জানানো হল জম্বুদ্বীপে খুবই উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হবে খুব অল্পসময়ের জন্যে।ওই সময় রথী মহারথীদের স্বাগত জানাতে আমাকে উপস্থিত থাকতে হবে আর ছোট্ট চা পানের আয়োজন করতে হবে। যে দ্বীপে নৌকো নোঙর করার একটা জেটি পর্যন্ত নেই, সেখানে “ছোট্ট আয়োজন” করতে বনবিভাগ, পুলিশ আর নৌবাহিনীর রাতের ঘুম উড়ে গেল। বনবিভাগের লঞ্চ, লঞ্চ থেকে মাঝারি বোট, মাঝারি বোট থেকে ছোটো বোট, ছোটো বোট থেকে ডিঙ্গি…চা পানের চেয়ার টেবিল,রঙিন ছাতা, কাপ প্লেট,পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র, এমনকি আমরা , প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সব প্রায় উড়ে যায় যায়। আমাদের ওপর কড়া নির্দেশ ছিল সরকারি মানমর্যাদা তা বলে যেন উড়ে না যায় সেদিকে নজর রাখার।

নৌবাহিনীর অফিসার দূর দিগন্তে চোখ রেখে অ্যাটেনশন এ দণ্ডায়মান। হোভারক্রাফট এর চিহ্ন দেখা যায় কি্না নজর রাখছেন, আমরা যে যার দপ্তরের ব্যাপার মনে মনে শেষবার ঝালিয়ে নিচ্ছি, হঠাৎ দেখা গেল এক বিশালাকায় ষাঁড়, উদাস নয়নে ধীরে সুস্থে হেলে দুলে এদিকেই আসছে। সবাই আমার দিকে ক্রূদ্ধ দৃষ্টিতে তাকাতে লাগল।ভাবটা এই যে “ এ আবার এখানে কেন?” যেন আমি ওকে আসতে বলেছি। কেউ বোঝার অবস্থায় নেই যে ষাঁড় বন্যপ্রাণী নয়। পাশ থেকে আমার স্টাফের ফিসফিস। “ম্যাডাম আবার একে ছেড়ে দিয়ে গেছে, সর্বনাশ হল।“

এক আমরা চিনি। পাশের দ্বীপে বেশি উৎপাত করলে একে ট্রলারে চাপিয়ে গ্রামের লোকেরা জম্বুদ্বীপে ছেড়ে দিয়ে যায়। আবার স্টাফরা একে দেখতে পেলেই ধরে ফিরতি ট্রলারে জোর করে চাপিয়ে দেয়।নৌকো জাতীয় কোনো কিছু দেখা গেলেই সে গাছপাতা চিবোনো ছেড়ে চলে আসে নদীর পাড়ে।সেই ষন্ড মহারাজ কে যে কিভাবে সবাই মিলে চোখের আড়ালে পাঠিয়ে VVIP অতিথিদে'র সামনে ঠিক সময়ে গরম চায়ের কাপ হাজির করা গেছিল, সে জানি শুধু আমরা কয়েকটি প্রাণী।

প্রথম যেদিন যাই এই ক্যাম্পে,সেদিন আশ্চর্য হয়ে গেছিলাম ক্যাম্পের দৈন্যদশা দেখে।দু'খানা ব্যারাক ভেঙে পড়ছে, কোনো প্রাচীর নেই, ঝোপঝাড় ভর্তি, কোন আলো নেই।খুব খারাপ লেগেছিল কর্মচারিদের জন্য।এই অবস্থায় এরা পড়ে আছে এই জনমানবহীন এই দ্বীপে।কেউ জানে না কি অক্লান্ত ভাবে পরিশ্রম করে চলেছে এরা।

আস্তে আস্তে বেড়া দিয়ে ঘেরা হল ব্যারাক। ঘর সারিয়ে ঝকঝকে হল। সোলার লাইট জ্বললো। মোবাইলের জন্য হল সোলার চার্জিঙ পয়েন্ট হল, ফলের গাছ লাগানো হল। টেলিভিশনে ডিশ অ্যান্টেনায় কিছুদিনের মধ্যেই ওরা দুনিয়ার খবর দেখতে পেল। এর পর আমি যেদিন কাজ দেখতে গেলাম, ওরা আমায় সরবত খেতে দিয়ে লাইন দিয়ে যখন ঢিপ ঢিপ করে প্রণাম করতে লাগলো তখন আমার “ধরণী দ্বিধা হও” অবস্থা। এমনিতে যেখানে লঞ্চ নোঙর হত, সেখান থেকে কোমর জলে প্রায় ১০ মিনিট হেঁটে হেঁটে তারপর পৌঁছান যেত ক্যাম্পে। সেদিন ওরা আমায় জলে নামতে দেয় নি। কোথা থেকে একটা শালতি যোগাড় করেছিল। তাতে আমায় বসিয়ে গুণ টেনে টেনে নিয়ে গেল, আমার বারণে কর্ণপাত না করে।সেই দুর্গম র্দ্বীপে ওদের ভালোবাসার এই বহিঃপ্রকাশ আমার মনে থেকে যাবে সারাজীবন।

যে গল্প বলতে গিয়ে সরে এলাম অনেকটা সেই গল্পে ফিরি। দুপুর বারোটায় যখন লঞ্চে চেপেছিলাম তখন দিব্যি রোদ।এডওয়ার্ড ক্রীক দিয়ে আধাঘন্টাটাক চলার পর হঠাৎ যেন সন্ধ্যের মেঘের মত কুয়াশা ঘনিয়ে আসতে থাকল।নিতাই মাঝি আন্দাজে ভরসা করে আরো মিনিট পনেরো চলার পর হঠাৎ যেন সেঁধিয়ে গেলাম কুয়াশার সুড়ঙ্গে।কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না।নিতাই গলা ছেড়ে “হোওওওওও” করে প্রচুর চেঁচালো আর কোনো নৌকার মাঝি সাড়া দেয় কিনা দেখার জন্য।কোথায় কি?

হেনকালে নিতাই এর সাগরেদ লস্কর মদন কাঁদোকাঁদো হয়ে জানালো, লঞ্চে কম্পাস নেই, আর সে দিক বুঝতে পারছে না। রাগে আর চিন্তায় আমার মাথার চুল প্রায় খাড়া হয়ে উঠলো। রাগ এজন্যে যে লঞ্চ নিয়ে ডিউটিতে বেরিয়ে পড়ল কম্পাস ছাড়া ; আর চিন্তা এজন্য যে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।এই লঞ্চে দিক ভুলে সাগরে গিয়ে পড়লে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না আমাদের।

তখন জোয়ার চলছে। শীতের শেষ, স্রোতের টান খুব বেশি নয়। ঠিক করা হল আমরা আপাততঃ নোঙর করে খাওয়াদাওয়া করে নেব। খেতে খেতে মনে পড়ল, তাই তো নতুন ট্যাব রয়েছে পিঠব্যাগে। যদি নেটওয়ার্ক পাই তো এর জিপিএস সিস্টেম দিয়ে বোঝা যাবে আমরা কোথায় আছি। কপালগুণে নেটওয়ার্ক এল। তীরচিহ্ন দেখিয়ে দিল আমরা খুবই বিদঘুটে জায়গায় আছি। পশ্চিমদিক ধরে সোজা যেতে পারলে জম্বুদ্বীপের তীর বরাবর পৌছোনো যাবে।তবে জলযাত্রার ক্ষেত্রে ম্যাডামের জ্ঞানের ওপর যে নিতাই মাঝির একটুও ভরসা নেই সেটা নিতাই বিড়বিড় করে আমায় জানিয়েও দিল।

জোর করেই আমি তীরচিহ্ন দেখে, "নিতাই বাঁদিক চাপো, দক্ষিণে যেও না”, "মদন জল মাপো, চড়া দেখাচ্ছে ম্যাপে, আটকে যেও না যেন” করতে লাগলাম । লঞ্চ এগোতে লাগল আস্তে আস্তে। কোনো ভগবানের নাম ও মনে পড়ছে না। তাই মনে মনে “হে বাবা ট্যাব, নেটওয়ার্কে থেকো বাবা” বলতে বলতে দু'কলি গান ও গেয়ে নিলাম। “ও আমার দরদি, আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না’।

খানিক আগে নিতাই মাঝির চাপা দাঁত কিড়মিড় শুনেছিলাম “মদনা , তুই ড্যাংগায় নাম, তোর হচ্ছে! ম্যাডাম আমায় খাবে, আর আমি খাব তোকে চিবিয়ে।" পুঁচকে লঞ্চে বিশেষ গোপনীয়তা নেই। শোনা গেল “ বেঁচে গেলি এযাত্রা মনে হয় মদনা।“ জল মাপার বাঁশ হাতে “ মদনা”র আবহসংগীত চলছিল “ এক বা…ম , দুই বা…ম “ …এক সেকেন্ড এর বিরতিতে বুঝলাম সে একটু হেসে নিচ্ছে।



আরো পড়ুন: গনেশায় নম:


হঠাৎ মদন লস্করের চীৎকার “ দেখা গেছে, জম্বুদ্বীপের গাছপালা দেখা গেছে”। ঐ কুয়াশায় কি দেখল কে জানে, এক ই সঙ্গে আমাদের ওয়াকিটকি তে ধরা পড়ল “বনফুল লঞ্চ পশ্চিম চেপে চলে এস, দেখা যাচ্ছে তোমাদের”।মদন মাথার গামছা কোমরে বেঁধে ভাস্কো ডা গামা স্টাইলে লঞ্চ ভিড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল।আমরা তীরে এসে জুতো খুলে জলেই লাফিয়ে নেমে হাঁটা দিলাম ক্যাম্পের দিকে।

কাজকর্ম সারতে ঘন্টা দেড় লাগলেও কুয়াশা দেখা গেল কমছে না। আমাদের ফিরতেই হবে ভাঁটার টান পুরো ধরার আগেই। ট্যাব দেখে পৌঁছতে পেরে আমি তখন প্রায় মহিলা কলম্বাস।কুয়াশা কেটে যাওয়া তো দূর , কালো মেঘের মত ঘন হয়ে এসেছে, থপথপ করে জলের মত ঝরে পড়ছে গায়ে।কাঁদো কাঁদো মুখে নিতাই এর নিবেদন, “কি হবে ম্যাডাম? আপনার যন্তর যদি না চলে?”

“তুমি থামো তো নিতাই” , আমি বীরবিক্রমে বলার চেষ্টা করলেও গলাটা নিজের কাছেই একটু মিনমিনে শোনায়।ছ’টি নিধিরাম সর্দারের একটি এগিয়ে আসে, “অ্যাই নিতাইদা, অ্যাই মদনা, লজ্জা করে না তোমাদের,জলের জীব তোমরা, জলের রাস্তা চেনো না শালা” ,বলে আধহাত লম্বা জিভ বের করে বললো, “ওই যন্তর ব্যাগে রেখে দিন ম্যাডাম। অ্যাই নিতাইদা, এস্টিয়ারিং (লঞ্চের স্টিয়ারিং) এ বস গে যা, অ্যাই মদনা, জল মাপতে লাগ, লঞ্চ যদি চড়ায় লাগে তো ওই চড়ায় তোদের দুটোকে পুঁতব।“ হারাধন ‘মা চলেন’ বলে নির্বিকার ভাবে আমার হাত থেকে আমার জুতো জোড়া নিতে এগিয়ে আসলে আমি এক কোমর জলে একটা লাফ মারি। “শোনো হারাধন জুতো, ব্যাগ এসব নিতে এলে এই জলেই আমি কান ধরে তোমাকে দাঁড় করিয়ে রাখব”। “আপনি আমাদের সবার মা, স্যার”। “স্যার” আর “ মা” একসাথে কি ভাবে হওয়া যাবে ভেবে না পেয়ে বলি “যাও লঞ্চে ওঠো”।

এরপর হারাধন দেখালো তার কেরামতি। ওই ঘন অন্ধকারে একে অপরকে দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু হারাধনের বিকার নেই, “হেই নিতাই দা সিধে চল, ওরে হেই মদনা ঘুমালি নাকি, চেঁচিয়ে জল মাপ”। “হারাধন, অন্ধকারে জলের পথ বোঝো কি করে?” "সে আপনার বাপ মায়ের আশীর্বাদ স্যার”।আমার স্বর্গগত বাবা মা কবে হারাধনকে আশীর্বাদ করার সুযোগ পেলেন বুঝতে না পেরে চুপ করে থাকাই ভালো বুঝলাম।

এর খানিকক্ষণের মধ্যেই ওই প্রবল শুঁটকি মাছের গন্ধ আর কুয়াশা ভেদ করে বিন্দু বিন্দু আলো, বোঝা গেল, অনেক ছোটো ছোটো নৌকো জড় হয়ে বসে আছে, তাদের হারিকেনের আলো। কুয়াশার জন্যে মাছ ধরতে বেরোতে পারেনি।

আমাদের লঞ্চ জেটিতে ভিড়তেই সবাই হারিকেন নিয়ে আমাদের কাছে চলে এল। নামখানা রেঞ্জের স্টাফরা সবাই হাজির জেটিতে , কুয়াশা কাটলে উদ্ধারকারী টিম বেরোবে। সবাই ধরে নিয়েছে আমাদের ছোট্ট “বনফুল”কে এতক্ষনে বঙ্গোপসাগর গিলে নিয়েছে।আমাদের হারাধন যেভাবে বনফুল কে ফিরিয়ে এনেছে, আমি বলতে যেতেই টুপ করে হারাধন “আসছি স্যার, শুভরাত্রি” বলে কোন নৌকোয় গিয়ে ঢুকে পড়ল আর দেখা গেল না। সেদিন মনে হয় ওর শুঁটকির ঝাল দিয়ে রাতের খাওয়া টা ভালোই জমেছিল।




লেখক পরিচিতি: লেখক পশ্চিমবঙ্গের বনবিভাগের Chief Conservator of Forests পদে কর্মরত।







Recent Posts

See All

Comments


472988974_1066719631921628_7123774556652206934_n.jpg
Royal_Bengal_Tiger_Kanha.JPG

Editor: Dr. Sumanta Bhattacharya
Co-editor: Dr. Oishimaya Sen Nag

  • Facebook

follow our facebook page to stay updated

© 2021 by Boney Pahare. All rights reserved.

bottom of page