top of page
..

Did You Do It ?

বনে-জঙ্গলে হঠাৎ দূর থেকে ভেসে আসা টিটি পাখির ডাকে মন আনমনা? বুদ্ধদেব গুহ'র কত উপন্যাসে যে 'ডিড য়ু ডু ইট' পাখির কথা বরাবার এসেছে। সেই টিটি পাখি- ল্যাপউইংদে'র নিয়ে কলম ধরলেন সুমিত সেনশর্মা


সেবারে পালামৌ বনবাংলো তে শখ করে একটা গাছবাড়িতে ছিলাম ক'দিন, নিছক প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার তাগিদেই যাওয়া । আমাদের গাছবাড়ি আর পালামৌ জঙ্গলের মাঝে একটা সরু রাস্তা ছিল, রাস্তা পেরলেই একটা মাঝারি মাপের তৃণভূমি আর তার পরেই গভীর জঙ্গলের শুরু । এক রাতে গাছবাড়ির বারান্দা থেকে এমন এক অপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলাম - হয়তো তা কোনোদিনই ভুলতে পারব না, সন্ধে গাঢ় হতেই সামনের তৃণভূমিতে সার সার চিতল হরিণের দল এসে দাঁড়িয়েছিল। জঙ্গলের সীমান্তে দুই চার জোড়া সম্বর হরিণ ও নীলগাই লক্ষ করেছিলাম । আধো অন্ধকারে ওদের চোখগুলো যেভাবে জ্বলছিল তাতে আমার সতীর্থ বাবুন তো প্রথম দিকে কিছুটা ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলো । মাঝ রাতে আকাশ আলো করে অষ্টমীর চাঁদ উঠেছিল। সেই চাঁদের আলোয় জঙ্গলের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সময় জ্ঞান ছিলোনা । অনেক সময়ই এমনটা হয়, রহস্যময় প্রকৃতি আমাদের এমন ভাবে বোবা বানিয়ে রাখে যে কথা বলার শক্তি বা ইচ্ছেটুকুও অবশিষ্ট থাকেনা ।


রাতের জঙ্গলের এক আলাদা গন্ধ আছে, চাঁদের আলোতে গাছপালা ঝোপঝাড় মাটি থেকে উঠে আসা এক মিষ্টি শীতল গন্ধ যার মায়াময় উপস্থিতিকে কখনোই অগ্রাহ্য করা যায়না, এ যেন কোনো অদৃশ্য বনদেবীর উপস্থিতি এই উপস্থিতির কাছে সমর্পণ করার এক অন্যরকমের তৃপ্তি আছে । রাতের জঙ্গলের কিছু শব্দ আছে যা সকালের বা দুপুরের শব্দের থেকে একদম আলাদা । এ শব্দ কান পেতে শোনা যায়না, সমস্ত মন ও চেতনা দিয়ে এই শব্দকে উপলব্ধি করতে হয় ।

হরিণদের দলের মধ্যে কোথাও কোথাও অদ্ভুত এক চাঞ্চল্য লক্ষ করা যাচ্ছিলো, হয়তো কোনো মাংসাশী প্রাণীর উপস্থিতি বা গন্ধ তাদের কে চঞ্চল করছিল । পরে জেনেছিলাম যে সামনের তৃণভূমির বামদিকে একটি প্রাকৃতিক জলাধার আছে | হঠাৎ সেদিক থেকে আর্তনাদের মতো একটা টিটি বা টিট্রিভ পাখির ডাকে মুখরিত হয় উঠতেই হরিণের দলের মধ্যে একটা দ্রুত সঞ্চালন লক্ষ করলাম I এই পাখিটিকে আমি অনেকবার জঙ্গলে দেখেছি । পাখিটির একটি বিশেষ গুন হলো বড় কিংবা ভারী জানোয়ারের পায়ের শব্দ এরা যে ভাবেই হোক শুনতে পায়, এবং তৎক্ষণাৎ জঙ্গলের অন্যান্য প্রাণীকে সতর্ক করে ডেকে ওঠে টি - টি - ট্রিটিউ - ট্রিটিউ ট্রিটিউ ট্রিট । ইংরেজিতে এই পাখির ডাকের অনুকরণে এর নাম রাখা হয়েছে ডিড- হি-ডু-ইট । প্রকৃতি প্রেমী এবং খ্যাতনামা লেখক বুদ্ধদেব গুহ তার একাধিক গল্পে ও উপন্যাসে এই পাখিটিকে "ডিড ইউ ডু ইট" নামে পরিচিতি দিয়েছেন ।

পুরনো দিনের ভারতবর্ষে বন্য প্রাণী শিকারের রেওয়াজ ছিল। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার শিকারের

পারমিটও দিতেন । দেশীয় এবং বিদেশী অনেক শিকারিরা প্রচুর প্রাণী শিকার করেছে সে যুগে । প্রাণীর সংখ্যা যখন প্রায় বিলুপ্তির পথে, তখন স্বাধীন ভারতের সরকার বন্য প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ করে আইন আনেন। সারা দেশে অনেক বনাঞ্চল অভয় অরণ্যের মর্যাদা পায়। যখনকার কথা বলছি তখন অনেক বড়ো বড়ো জঙ্গল ছিল আর তাতে প্রাণীর সংখ্যাও ছিল অনেক, সরকারি পারমিট ছাড়াও কিছু নেটিভ রাজ্যের রাজাদের কাছে খাস তালুকের ছোট ছোট জঙ্গল ছিল। এইসব জঙ্গলগুলি ছিল ওই নেটিভ রাজাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। সেসব জঙ্গলে এক সময় ঢালাও শিকারের আয়োজন হতো,

পরে অবশ্য তাও বন্ধ হয়ে যায় । আর ছিলেন জিম করবেটের মতো শিকারি যারা পায়ে হেটে মানুষখেকো বাঘ মারতে পারতেন | মানুষ অথবা গৃহপালিত পশু বাঘের স্বাভাবিক খাদ্য নয়, বাঘ মারাত্মক আহত হয়ে তার স্বাভাবিক শিকার করার ক্ষমতা হারালেই সাধারণত গৃহপালিত পশুর দিকে নজর দেয়। বাঘের শরীরে আঘাতের পরিমাণ বেশি হলে অথবা আহত বাঘ বুড়ো বা অথর্ব হয়ে গেলে মানুষ শিকার করতে বাধ্য হয়। সুন্দর বনের বাঘের কথা অবশ্য আলাদা, শোনা যায় তারা জন্ম সূত্রেই মানুষখেকো হয়, অবশ্য এর দ্বিমতও আছে, সে কথা অন্য কোনও গল্পে বলা যাবে।

ভাবছেন ল্যাপউইং এর প্রসঙ্গ নিয়ে লিখতে বসে হঠাৎ বাঘের প্রসঙ্গে চলে এলাম কি করে, আসলে

জঙ্গলের খাদ্য শৃঙ্খল, ইকোসিস্টেম এমন একটি সূত্রে বাঁধা যে জঙ্গলের যে কোনো একটি প্রাণীর কথা

বলতে বসে অন্য প্রাণীর প্রসঙ্গ বা জঙ্গলের প্রসঙ্গ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই চলে আসতে চায়, তাকে জোর

করে থামিয়ে রাখলে তাতে আর যাই থাকুক স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে না।

জঙ্গলে পায়ে হেঁটে শিকার করা শিকারি বা জঙ্গলে ট্রেক করতে যাওয়া বন্যপ্রাণীর আলোকচিত্রী অথবা

অভিযাত্রীদের কাছে ল্যাপউইং পাখিটি একটি সদা সতর্ক জঙ্গলের পাহারাদার, জঙ্গলের সব থেকে ভয়ঙ্কর প্রাণী বাঘের উপস্থিতি যেমন কাটরা হরিণ, বানর ও ফেউ এর বিশেষ ডাকের মাধ্যমে বুঝতে পারা যায় তেমনি তা বোঝার আর একটি নির্ভুল উপায় হল টিটি বা টিট্রিভ পাখির ডাক। কারণ এরা সাধারণত মাটির খোঁদলে বাসা বাঁধে, আর সেখানেই ডিম পারে। কাজেই মাটির সাথে টিট্রিভের যোগাযোগ অতি ঘনিষ্ঠ, সে কারণে কোনও বড়ো জন্তু বা মানুষের উপস্থিতিতে কোনও ভারী জন্তুর পায়ের আওয়াজই বিপদসংকেত হিসাবে এরা বিচিত্র স্বরে টি - টি - ট্রিটিউ - ট্রিটিউ ট্রিটিউ ট্রিট করে ডাকতে ডাকতে আকাশে চক্কর কাটতে থাকে। বাসা বানানোর উপকরণ হিসেবে এরা গাছের শুকনো পাতা, গবাদি পশুর মল ও মাটির ঢেলা ব্যবহার করে থাকে, সে কারণে এদের বাসা মাঠ ঘাট জঙ্গলের সঙ্গে এতো সুন্দর কেমোফ্লেজ করে থাকে যে খুব কাছে থেকেও তা বোঝা যায়না |




খুব কাছে থেকে এদেরকে লক্ষ করার সৌভাগ্য হয়েছে তাই দেখেছি এদের খাদ্য তালিকাতে আমিষ এবং নিরামিষ দুইই বর্তমান, ভূমি ও জলজ ছোট ছোট কীটপতঙ্গ, শামুক, গেঁড়ি গুগলি জাতীয় প্রাণী, ছোট ব্যাঙ, ব্যাঙাচি, কেঁচো যেমন এদের খেতে দেখেছি তেমন ছোট ছোট মাছও এদেরকে জলা, ঘাসজঙ্গল থেকে ধরে খেতে দেখেছি এমনকি জলজ উদ্ভিদের কচি পাতা পর্যন্ত।

আমাদের দেশে সাধারণত পাঁচ ধরণের ল্যাপউইং দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে সব থেকে বেশি দেখেছি রেড ওয়ালেটেড ল্যাপউইং বা ‘লাল লতিকা হট্টিটি’ আর ইয়ালো ওয়ালেটেড ল্যাপউইং বা ‘হলুদ লতিকা হট্টিটি'। সব ধরণের ল্যাপউইং এর পুরুষ এবং স্ত্রী অনেকটা একই রকমের দেখতে হয় এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের রং কিছুটা উজ্জ্বল থাকে।

রেড ওয়ালেটেড ল্যাপউইং এর বাদামী ডানা, লেজ কালো। মাথা ঘাড় ও বুকের রঙ কালো। ঘাড় থেকে শুরু করে দেহের দুপাশ বেয়ে নীচ পর্যন্ত অংশ চওড়া সাদা। ঠোঁট ও পায়ের এর রঙ উজ্জ্বল লাল। চোখের চারিদিকেও লাল রঙ থাকে।

Red wattled lapwing (Vanellus indicus)

ইয়ালো ওয়ালেটেড ল্যাপউইং র মাথায় টুপি আকৃতির কালো পালক দুই পাশে সরু সাদাটান। গলা পিঠ পাটকিলে বর্ণ । বুক থেকে নিচের দিক সাদা। লেজ কালো। ঠোঁটের অগ্রভাগ কালো ও গোঁড়া হলদে-সবুজ। পা ও লতিকা উজ্জ্বল হলুদ।


Yellow wattled Lapwing (Vanellus malabaricus)


এছাড়া নদী ও খাল বিলের পাড়ে রিভার ল্যাপউইং দেখেছি অনেক । মাথার পিছনে ঝুটি আকৃতির কালো পালক ।গলা পিঠ হালকা পাটকিলে বর্ণ । ডানার পালক গুলো সোজা সোজা দাগের মতো দেখায়, বুক থেকে নিচের দিক সাদা। লেজ ও পা কালো। ঠোঁটের রং কালো । জলাধারের আশেপাশে জোড়ায় জোড়ায় অথবা ছোট ছোট দলে ঘুরে ঘুরে এরা খাবার সংগ্রহ করে।

River Lapwing (Vanellus duvaucelii)

বাকি দুই রকমের প্রজাতির মধ্যে পরে গ্রে হেডেড ল্যাপউইং - ডানা ও পিঠ পাটকিলে, মাথা ধূসর সাদা, ঠোঁটের অগ্রভাগ কালো গোড়া হলুদ, পেট থেকে নিচের দিকে সাদা, গলায় কালো দাগ, পা হলুদ, চোখের মনির রং লাল পুঁথির মতো।

Grey headed Lapwing (Vanellus cinereus) Photo by: Sai Adikarla/flicker(CC BY 2.0)

ল্যাপউইং প্রজাতির মধ্যে সব থেকে সুন্দর নর্দান ল্যাপউইং এদের মাথার উপরিভাগ কালো তার সাথে মাথার পিছনের দিকে লম্বা কালো ঝুটি, চোখের উপরিভাগ হলুদ আর নিচের অংশ কালো, ঠোঁট কালো, পায়ের রং গাঢ় হলুদ আর সব থেকে চিত্তাকর্ষক এই পাখির ডানা ও পিঠ উজ্জ্বল সবুজ বর্ণের, লেজ হলুদ আর কালো মিশেল, গলায় কালো মোটা দাগ, গলা থেকে পেট ও নিচের অংশ ধবধবে সাদা।

Northern Lapwing (Vanellus vanellus) Photo by: Andreas Trepte/ Wikimedia commons

নতুন প্রজাতির মধ্যে আর এক ধরণের ল্যাপউইং দেখা যায় তা হল হোয়াইট টেইলড ল্যাপউইং বা

শ্বেতলেজী হট্টিটি, এই প্রজাতির প্রাপ্তবয়ষ্ক পাখি ছিপছিপে ও খাড়া। ঘাড়-মাথা বাদামি; ঠোঁট কালচে।

কপাল ধূসরাভ-বাদামি, গোলাপি আভাসহ পিঠ ধূসরাভ-বাদামি ও বুক ধূসর। ডানার বড় পালকগুলো সাদা-কালো। লেজ সাদা। পা হলদে। চোখের চারদিকে লাল বলয়।

শ্বেতলেজী হট্টিটি মধ্য এশিয়া ও রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। শীতে উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও

ভারতীয় উপমহাদেশে পরিযায়ী হয়ে আসে এরা |

White tailed Lapwing (Vanellus leucurus)

রেড ওয়ালেটেড ল্যাপউইং জলাশয় এলাকা এড়িয়ে চলে। শুকনো জমি এদের বেশি পছন্দ। বহু জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে আমি এদেরকে ছোট ঘাস জমিতে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরে বেড়াতে দেখেছি, অনেক সময় ক্ষেতের পাশে আলের ধারে ধারে এদের বাসা বানাতেও দেখেছি| এদের সব থেকে রহস্যজনক বৈচিত্র হলো জ্যোৎস্নারাতেও এরা ছোট ছোট দলে শিকারে বের হয়। বিশেষকরে পূর্ণিমায় সারারাত ধরে মাঠপ্রান্তরে জঙ্গলে দ্রুত গতিতে হেঁটে হেঁটে এদেরকে শিকার ধরতে দেখেছি অনেকবার । শীতকালে এদের দলের সদস্য সংখ্যা অন্যান্য সময়ের থেকে বেড়ে যায়।




আফ্রিকা মহাদেশে এক বিশেষ শ্রেণীর ল্যাপউইং দেখা যায়, এদেরকে ব্ল্যাকস্মিথ ল্যাপউইং বলে।

ব্ল্যাকস্মিথ ল্যাপউইং কে দক্ষিণ কেনিয়া থেকে পশ্চিমে অ্যাঙ্গোলা পর্যন্ত এবং মহাদেশের পূর্ব অংশে

ও দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত দেখা যায়। তবে উপমহাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে (নামিব মরুভূমি, কালাহারি এবং উত্তর কেপের কিছু অংশে) তীব্র শুষ্ক এলাকায় এগুলি খুব বিরল।

ব্ল্যাকস্মিথ ল্যাপউইং এর এমন নামকরণের পিছনে এদের টিঙ্ক, টিঙ্ক, টিঙ্ক ধাতব শব্দের ডাকটি

উল্লেখযোগ্য যা কামারের হাতুড়ির আঘাতকারী শব্দের মতো শোনায়। আফ্রিকাতে, এই প্রজাতিটিকে

সাধারণত: "বন্টকিউয়েট" হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।

Blacksmith Lapwing (Vanellus armatus)

টিট্রিভ পাখি প্রজনন কালে জোড়ায় জোড়ায় থাকে। প্রজনন সময় মার্চ থেকে অগাস্টের মধ্যে | অপরিচ্ছন্ন জমি বা পাথরের কাছাকাছি গোটা চারেক ডিম দেয়। ডিমের রঙ ধূসর বাদামী হয় ও তাতে কালো দাগ থাকে। মাটি বা পাথরের সঙ্গে সহজে পার্থক্য করা যায়না। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২৭-৩০ দিন। ডিমে তা দেওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চা বড়ো হওয়া পর্যন্ত এই সময়টা পাখিরা খুব সতর্ক থাকে, সবসময়ে ডিম ও পরবর্তী ক্ষেত্রে বাচ্ছাদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করে । বিধাতা বোধ হয় এভাবেই জীবজগতের সৃষ্টি করেন, টিট্রিভ মাটিতে ডিম পারে বলে মাটির সঙ্গে তা এমন কেমোফ্লেজ করে থাকে যে খুব কাছে থেকেও ডিম কে আলাদা করে বোঝা যায় না, এভাবেই হয়তো বংশ রক্ষা

হয় টিট্রিভের।

Yellow wattled Lapwing এর ডিম

ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশে ছাড়াও এদের পাকিস্তানের নিম্ন সিন্ধু, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া,

চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, আফ্রিকা মহাদেশ ও ভিয়েতনামেও টিট্রিভদের দেখতে পাওয়া যায়।


"হাট্টিমা টিম টিম তারা মাঠে পাড়ে ডিম

তাদের খাড়া দুটো শিং তারা হাট্টিমা টিম টিম"


ছোটবেলায় পড়া এই ছড়াটির রচয়িতা কে ছিলেন তা জানা নেই তবে তিনি নিশ্চই টিট্রিভ পাখির কথা ভেবেই এমন ছড়া তৈরি করেছিলেন |

আট থেকে নয় বছর পর্যন্ত একটি টিট্রিভ পাখি বেঁচে থাকে এবং এই সময়কাল ধরেই বনজঙ্গল ও

জলাভূমিতে ঘটে যাওয়া বৃক্ষ ও বনভূমির নিধন, চোরাশিকারির হানা, জলাভূমি বুজিয়ে ফেলার মতো শত শত অন্যায় অবিচার এর জবাবদিহি করতে থাকা জঙ্গলের পাহারাদার কৈফিয়ত তলব করতে থাকে ডিড ইউ ডু ইট

- ডিড ইউ ডু ইট ???




কানহা ন্যাশানাল পার্কে বানজার নদীর বুকে টিটি পাখি বা ল্যাপউইং-এর ডাকে ভরা একটি সকালের ভিডিও


লেখক: বন্যপ্রাণী নিয়ে লেখালেখিতে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে বনেপাহাড়ে ওয়েবজিনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য।









বনে পাহাড়ে ওয়েব পত্রিকার জন্য পাঠান আপনার প্রকৃতি বিষয়ক নিবন্ধ, ছবি, গল্প বা ভ্রমণ কাহিনী এই মেল আই ডি তে: boneypahare21@gmail.com
308 views7 comments

7 Comments


Sumit Sensarma
Sumit Sensarma
Aug 31, 2023

AA

Like

Angan Mukherjee
Angan Mukherjee
Aug 25, 2023

Khub sundor lekha, prochur research kore likhecho 😊🙏

Like
Sumit Sensarma
Sumit Sensarma
Aug 25, 2023
Replying to

অনেক ধন্যবাদ অঙ্গন

Like

ayandas10
Aug 22, 2023

বুদ্ধদেব গুহ পথিকৃৎ ছিলেন। উনি চলে যাবার পর এক অপার শূন্যতা তৈরী হয়েছিল। ওঁঁর লেখনীতে যারা অভ্যস্থ, একমাত্র তাঁরাই হয়তো জানেন, এই শূন্যতার অভিঘাত কতটুকু!


আজ আবার নতুন করে মনের ভেতর কৌতুহলী তিরতির করে বয়ে যাওয়া নদীটিতে নতুন করে জলতরঙ্গে মৃদু সঙ্গীতের মূর্ছনা চেতনায় ধরা পড়লো। ভোরের নরম আলোয় পাখিদের কিচিরমিচিরে মীড়-গমক-গিটকিরি-তান-ঝালায় প্রাণের স্পন্দন স্বতঃস্ফুর্তভাবে ধ্বনিত হ'ল এক অনির্বচনীয় অনুভবে!


আশ্বস্ত হলাম। বুদ্ধদেব'রা হারিয়ে যান কখনও। যুগে যুগে তাঁর গুনমুগ্ধ পাঠক-পাঠিকাদের কাছে রেখে যান তাঁর ফেলে যাওয়া কলম। সুমিত'দাকে আমি চিনি বাবুল'দা নামে। বাবুল'দা সেই দুর্লভ মানুষদের মধ্যে সতন্ত্র এক ব্যক্তি যিনি ব্যস্ত নাগরিক জীবনের মাঝে থেকেও একচিলতে কৌতহলী অনুসন্ধিৎসু চিরহরিৎ মন'টা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন এখন পর্য্যন্ত! নিজের ব্যক্তিসত্তাকে মিশিয়ে দিয়েছেন প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ শুষে নিয়ে নিজেকে জারিত করে…


Like
Sumit Sensarma
Sumit Sensarma
Aug 22, 2023
Replying to

অয়নের মত পাঠক থাকলে অনেকই সাহস করে লেখনী ধরতে উৎসাহী হবে এ আমি বিলক্ষণ বুঝতে পারছি। তোমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাধারণের দলে ফেলতে চাইনা।

Like

Khub sundor lekhaa.

Like
Sumit Sensarma
Sumit Sensarma
Aug 22, 2023
Replying to

অনেক ধন্যবাদ সঞ্চিতা

Like
Royal_Bengal_Tiger_Kanha.JPG
bottom of page