সম্প্রতি National Green Tribunal (NGT) পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৩৫০০ কোটি টাকার জরিমানা করেছে আবর্জনা নিষ্কাশনে ব্যর্থতার জন্য। অথচ কলকাতা শহরেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক বর্জ্য পরিশোধনের পরিকাঠামো যাকে আমরা চিনি পূর্ব কলকাতার জলাভূমি হিসাবেও। যখন একের পর এক শহরে জলাভূমির অভাবে দেখা দিয়েছে বন্যার প্রাদুর্ভাব সেখানে এই জলাভূমির ভূমিকা কলকাতার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই জলবায়ু পরিবর্তনের সময়। কিভাবে? সেটা নিয়েই আলোচনায় দীপ্তার্ক ঘোষ। আজ প্রথম পর্ব।
“Other than rivers in some way, in many parts of the world, no other ecosystem is as important as wetlands in ensuring sustainable water resource management.”– Dr. Dhrubajyoti Ghosh, Environmental Activist, who crusaded for the East Kolkata Wetlands.
জলাভূমি হল পানীয় জলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উৎস।জলাভূমি হল সেই সব ভূ-ভাগ যা বছরের পূর্ণ বা আংশিক সময়ে জলের তলায় থাকে।তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ এক বাস্তুতন্ত্র- জীববৈচিত্রের দিক থেকে, ভূ-ভাগ ও ভূগর্ভস্হ জলের পরিমাণ ও গুণগত মান বজায় রাখার দিক থেকে, বন্যা ও খরা রোধ করার দিক থেকে, খাদ্যশৃঙ্খলের ধারা বজায় রাখার দিক থেকে আর অনেক রকম অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের দিক থেকে।
পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭.৭% জমি হল জলাভূমি-১১.৬৫ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। এরা ধরে রাখে পরিবেশের ৩৫% কার্বন। ভারত খুবই সমৃদ্ধশালী জলাভূমির বৈচিত্রের দিক থেকে।হিমালয় অঞ্চলের alpine wetlands থেকে উপকূলবর্তী ম্যানগ্রোভ অঞ্চল- প্রায় ৪.৬৩% ভূ-ভাগ বা ১৫.২৬ মিলিয়ন হেক্টর জমি রয়েছে জলাভূমির দখলে।
অনেক শহরের জন্য এইসব জলাভূমিই জলের একমাত্র উৎস , তাই গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে।শহরাঞ্চলে জলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পানীয় জলের পরিমান ও গুণমান বজায় রাখতে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জল ধারণ করে বন্যা রুখতে। এই প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার নিয়ে তাই এখন বিশ্বব্যাপী চিন্তাভাবনা চলছে।তাদের এত গুরুতর ভূমিকা সত্ত্বেও জলাভূমিগুলি আজ বিপন্ন হতে বসেছে বিপুল জনসংখ্যা, দ্রুত বেড়ে চলা নগরায়ন, শিল্পায়ন আর নানা অর্থনৈতিক 'উন্নয়ন' মূলক কর্মকাণ্ডের কারণে।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ভাবনা চিন্তা ছাড়া জলাভূমি সংরক্ষণ নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় তাই জলাভূমি সংরক্ষণ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
The Convention on Wetlands of International Importance – Ramsar Convention ছিল এই বিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ভারত এই রামসার সম্মেলনে সম্মত হওয়া দেশগুলির অন্যতম ১৯৮১ সাল থেকে। বর্তমানে ভারতে এমন ২৮টি রামসার স্বীকৃত জলাভূমি রয়েছে প্রায় ১, ৬০,০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে যারা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে এটা উল্লেখ্য যে ১৯৬৯ সালে দিল্লীতে যে International Union for Conservation of Nature (IUCN) এর সম্মেলন হয় তাতে কলকাতার জলাভূমি বাঁচানোর জন্য একটি প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল।পূর্ব কলকাতার জলাভূমিকে বাস্তুতান্ত্রিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয় আর ২০০২ সালের ২৯শে আগস্ট "আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি" বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় রামসার সম্মেলনের আর্টিকেল ৮ অনুযায়ী।East Calcutta Wetlands এই নামটি ড: ধ্রুবজ্যোতি ঘোষের দেওয়া। তিনি ছিলেন IUCN এর Commission on Ecosystem Management এর কৃষিজ বাস্তুতন্ত্র বিষয়ক বিশেষ পরামর্শদাতা।
East Kolkata Wetlands- যে জলাভূমি ধারণ করে কলকাতাকে
কলকাতায় আসা অতিথিরা যখন বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় প্রবেশ করেন এক বৈপরীত্য দেখে অবাক হয়ে যান। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের পশ্চিম দিকে তারা দেখেন একের পর এক বহুতল, শপিং মল, গণপরিবহনের নির্মীয়মাণ কাঠামো। কিন্তু পূর্বদিকটা তেমন নয়। দিগন্তপ্রসারী চাষের জমি আর জলাভূমির বিস্তার, কোন ঘরবাড়ি আসে না নজরে। এখানেই রয়েছে সেই "প্রাকৃতিক বিস্ময়" যার অদ্বিতীয় ভূমিকার বিষয়ে শহরের নাগরিকরা খোঁজ রাখেন না, মনে করেন আবর্জনা ফেলার স্হান বা মশার আঁতুড়ঘর হিসাবে।
কলকাতার পূর্বদিকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই East Kolkata Wetlands । এই অঞ্চল প্রাকৃতিক ও মানুষের সৃষ্ট জলাভূমিতে পরিপূর্ণ , যার মধ্যে রয়েছে নিষ্কাশন নালার জলে পুষ্ট ৩৬৪ টি মাছের ভেড়ি, সব্জির ক্ষেত, ধানের ক্ষেত, নোনাজলের জমি,ছোট ছোট পুকুর আর কিছু মানুষ বসতি। ১২৫ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৫.৯৩% জলাশয়, ৩৮.৯২% কৃষি জমি, বাকি ১০% এর মত এলাকায় শহর ও গ্রামীণ বসতি রয়েছে। আর ৪.৭৩% এলাকা আবর্জনা জমা করার স্হান।
এই "প্রাকৃতিক বিস্ময়" যা কলকাতায় রয়েছে তার সবচেয়ে বড় অবদান হল এটি পৃথিবীর বৃহত্তম জৈব বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এটা কলকাতার কিডনি বা বৃক্কের মত- সব দূষিত পদার্থ দূর করার কাজ করে। প্রকৃতির এই সচল ভূমিকার ফায়দা নেন স্হানীয় কৃষকেরা। স্হানীয় বাস্তুতন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড তারা চালান কৃষির মাধ্যমে তা তাদের জীবিকা নির্বাহে সাহায্য করে।
পূর্ব কলকাতার জলাভূমি: সময়ের সারণী বেয়ে
এই জলাভূমির যে জলজ ইতিহাস তা রীতিমত চিত্তাকর্ষক। এই এলাকা কলকাতার প্রাকৃতিক বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করে কারণ, কলকাতার অবস্থান পশ্চিমে গঙ্গা নদী আর পূর্বে এমন জলাভূমির মধ্যভাগে। পুরানো নথি থেকে এই এলাকাকে নিচু জলাভূমি আর বালি কাদায় ভরা নদীর এলাকা বলে চিহ্নিত করা গেছে। গঙ্গা নদী এই এলাকাটিকে ঘিরে রেখেছে ব-দ্বীপের অংশ করে আর জলাভূমি গুলি আন্ত:সংযোগযুক্ত বাদাবনের রূপ নিয়েছে। পশ্চিমে আছে গঙ্গা, আর পূর্বে বয়ে গেছে বিদ্যাধরি নদী, যা গঙ্গারই শাখা। এই বিদ্যাধরির সাথে যোগ রয়েছে মাতলার যা বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। এর কারণেই এখানকার জলে খেলত জোয়ার-ভাঁটা। জল তাই লবণাক্ত। তার থেকে নাম এসেছে সল্ট লেক বা লবণ হ্রদ।
ঊন-বিংশ শতাব্দীতে নগর-পরিকল্পকরা পূর্ব কলকাতার এই এলাকাটিকে শহরের কঠিন ও তরল বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের স্হান হিসাবে নির্বাচিত করেন। কারণ গঙ্গা নদীকে এইসব থেকে বাঁচানোর দরকার ছিল যা ছিল পানীয় জলের উৎস।১৮০৩ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি শহরের বর্জ্য ও বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের জন্য ভূ-গর্ভস্হ পয়:প্রণালী নির্মাণের নির্দেশ দেন। পশ্চিম থেকে পূর্বে বিস্তৃত খালগুলির মাধ্যমে যা শেষমেশ সেই লবণ হ্রদ হয়ে বিদ্যাধরি, মাতলা হয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে।শহরের ঢাল এই ক্ষেত্রে সহায়ক ছিল। এভাবে গঙ্গাকে দূষণের থেকেও বাঁচানোর উপায় হল।
১৮৭৯ সালে ২০ বছরের লিজে এই এলাকাটিকে দেওয়া হল বাঙালী উদ্যোগপতি ভবনাথ সেনের হাতে, যিনি ধাপায় এই আবর্জনার স্তূপের উপরে চাষবাস করে সাফল্যের সাথে সব্জি ফলালেন তাঁর খামারে।ভবনাথ সে তাই এক্ষেত্রে অগ্রপথিক বর্জ্য পদার্থকে ব্যবহার করে কৃষিকাজ করার ক্ষেত্রে। ঊনবিংশ শতকের শেষ দশক থেকে স্হানীয় লোকেরা এখানকার লোনা জলে মাছচাষ শুরু করে।কিন্তু পয়:প্রণালীর যে জল এখানে প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত হত তার প্রকৃতি ছিল মিষ্ট। ফলত: তারা শেষমেশ মিষ্টি জলের মাছচাষের দিকেই সরে আসেন।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বিদ্যধরি নদী মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে। এখন এর ক্ষয়িষ্ণু নদীখাতই চোখে পড়ে যার অধিকাংশটাই ধানিজমির দখলে।
এইসব সময় থেকেই পূর্ব কলকাতার জলাভূমি শহরের বর্জ্য নিষ্কাশনের স্হান হিসাবে কাজ করছে আর একে কাজে লাগিয়ে স্হানীয় উদ্যমী মানুষজন নিষ্কাশিত জলের জলাশয়গুলি মাছচাষের জন্য ব্যবহার করছে যা এই ধরনের জলাশয়ে মাছচাষের পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে পৃথিবীতে সর্ববৃহৎ। এতে দুটি উদ্দেশ্য সিদ্ধ হচ্ছে- নিষ্কাশিত জলে থাকা পদার্থসমূহ চাষের কাজে পুষ্টি যোগাচ্ছে, অন্যদিকে এই জল পরিশুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এর মাধ্যমে।
The East Kolkata (Conservation and Management) Act অনুযায়ী: " এই জলাভূমি জলজ বাস্তুতন্ত্রের রক্ষক, ভূ-গর্ভস্হ জলের ভাণ্ডার পূর্ণ রাখে, নিষ্কাশিত জলের পরিশোধনে সাহায্য করে, বাতাসের শুদ্ধতা বজায় রাখে আর অগ্নি নির্বাপণের কাজে সাহায্য করে এবং তাই মানুষের বসবাসের পরিবেশের উপর এর গভীর প্রভাব আছে।"
"কলকাতা ময়দান যদি শহরের ফুসফুস হয়, পূর্ব কলকাতার জলাভূমি হল শহরের কিডনি"- বনানী কাক্কর, পরিবেশকর্মী।
এটা উল্লেখযোগ্য যে ছড়িয়ে থাকা কলকাতা মহানগরীর কোন প্রাথমিক বর্জ্য নিষ্কাশনের পরিকাঠামো নেই।তা সত্ত্বেও বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের বিষয়টি পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে সস্তা এই প্রাকৃতিক ব্যবস্থার জন্য। শহরে যে ৭৫০ মিলিয়ন লিটার পয়:প্রণালীর জল বার হয় প্রতিদিন তার মাত্র ২৪% কলকাতা পুরসভা শোধন করতে পারে। বাকিটা আসে এই পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে যা মাছচাষের জলাশয়গুলিতে পরিশোধিত হয়। এইসব জলাশয় কলকাতার বর্জ্য পরিশোধনের জন্য বছরে ৪৬৮ কোটি টাকা বাঁচাচ্ছে।
“To what extent a community, a race, or a nation is civilized depends upon the waste it has to throw away” Dr. Dhrubajyoti Ghosh[The Trash Diggers].
কলকাতা পুরসভা কিছু খালের মাধ্যমে পয়:প্রণালীর যে জল তাকে এই এলাকার ভেড়িগুলিতে নিয়ে আসে।কালো জলে প্রথমাবস্থায় পুকুরগুলি ভরে যায়।যে anerobic অবস্থায় জল থাকে তাতে প্ল্যাঙ্কটনের সালোকসংশ্লেষের ফলে এই জল আস্তে আস্তে সবুজ হয়ে যায় আর aerobic অবস্থায় আসে। মৎস্যজীবীদের কো-অপারেটিভ পয়:প্রণালীর জলের আগমন-নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে। উপরিভাগে যে পরিষ্কার জল জমে তা অগভীর মাছচাষের জলাভূমির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধচন্দ্রাকার একটি গেটের মাধ্যমে জলাভূমির মাছচাষের জল থেকে পয়:প্রণালীর জলকে আলাদা রাখা হয় যাতে মাছেরা জলাভূমি থেকে অক্সিজেন বিহীন পয়:প্রণালীর জলে আসতে না পারে।যে জৈব আবর্জনা জমা থাকে তা ধীরে ধীরে কিছু জৈবনিক প্রক্রিয়ায় মাছের খাবারের উপযোগী অবস্থায় আসে। এই পুষ্টি-পদার্থ যুক্ত জলকে তখন মাছ চাষের ভেড়িতে পাঠানো হয়। এমন স্ব-নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় শহরের জৈব বর্জ্য ২০ দিনের মধ্যে পরিশোধিত হয়।
পরিশুদ্ধ জল এরপরে মিশে যায় সুন্দরবনের নদী নালায়। একথা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রাকৃতিক পরিশুদ্ধ-করণ প্রক্রিয়ার ফলে E. coli এর মত ব্যাকটেরিয়াও দূরীভূত হয়ে যায়, যা উন্নত দেশ সমূহে প্রথাগত নিষ্কাশন যন্ত্রের মাধ্যমেও করা যায় না। এই প্রাকৃতিক উপায় যদি অন্য বড় শহরেও অনুসরণ করা হয় তবে তা যেমন বর্জ্য নিষ্কাশনের খরচও কমিয়ে আনবে, তেমন মাছ ও ফসল চাষের এক বিকল্প পদ্ধতিও পাওয়া যাবে।
'কার্বন সিঙ্ক'
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক সুদিন পালের করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই পূর্ব কলকাতা জলাভূমি শহরের বাতাসের কার্বনকে ধারণ করে বাতাস পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাতাসের ১১৮ গিগাগ্রাম (Gg) কার্বন ডাই অক্সাইডকে এরা ধরে রাখে। এছাড়া দেখা গেছে এক বর্গমিটার জলাভূমি থেকে ২৩.৭৫ গ্রাম অক্সিজেন বাতাসে আসে মাছ ও অন্যান্য প্রাণীদের প্রয়োজন মেটাবার পরে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
কলকাতা শহরের বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিরাট ভূমিকা রয়েছে এই জলাভূমির।কলকাতার জমির ঢাল গঙ্গানদী থেকে উল্টোদিকে এই পূর্বদিকে। তাই শহরের পয়:প্রণালীর যত নালা আছে তার পূর্ব কলকাতার জলাভূমির দিকেই বয়ে আসে। ফলে বর্ষায় প্রবল বর্ষণের সময় অতিরিক্ত জল ধারণ করে শহরকে জলবন্দী হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় এই জলাভূমি।
(চলবে)
ছবি: ড: ঐশিমায়া সেন নাগ
সুনিষ্ঠা ভট্টাচার্য্য
খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায়।
Very good article. Specifically the writings in Bangla is unique. Thank you.